মহানায়কের মহাপথ

|

১৭ মার্চ, ১৯২০
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুন দম্পতির ঘরে জন্ম হয় এক স্ফূলিঙ্গের। যিনি পরবর্তীতে সময়ের ঘাত-প্রতিঘাতে হয়ে ওঠেন অগ্নিপুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।  ছয় ভাই-বোনের মধ্যে শেখ মুজিব ছিলেন তৃতীয়।

২৩ জুন, ১৯৪৩
প্রাদেশিক মুসলিম লীগের কাউন্সিলর হন সবার প্রিয় শেখ মুজিব।

১১ মার্চ, ১৯৪৮

ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের শুরু করেন। সেদিনই সকাল ৯ ঘটিকার সময় আমি গ্রেফতার হন।

২৩ জুন , ১৯৪৯ সাল
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় এবং জেলে থাকা অবস্থায় যুগ্ম-সম্পাদক হন।

১৯৫৩ সাল
আওয়ামী মুসলীম লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান

১৭ জুন, ১৯৫৫
ঢাকার পল্টনের জনসভা থেকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবি করেন।

১৯৬৬ সাল
আওয়ামী মুসলীম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। লাহোরে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। যেটি কিনা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।

৩ জানুয়ারি, ১৯৬৮
বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামি করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে পাকিস্তান সরকার। ১৯৬৯ সালে সেটি প্রত্যাহারে বাধ্য হয় তারা।

২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯
ঢাকায় ছাত্র জনতার বিশাল সমাবেশে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি পান বাঙালির এই অবিসংবাদিত নেতা।

৭ মার্চ, ১৯৭১
রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো জনতার উদ্দেশে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেন বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আকাঙক্ষা।

২৫ মার্চ, ১৯৭১

ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা করে পাকিস্তান। ২৬ মার্চ একটি বার্তার আকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা জারি করেন। ২৫ মার্চ মধ্যরাতের অব্যবহিত পর এ ঘোষণাটি ইপিআর-এর নিকট পৌছানো হয় এবং তা ইপিআর বেতারের মাধ্যমে যথাযথভাবেই প্রচার করা হয়। এরইমধ্যে, গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু।

১৭ এপ্রিল, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে প্রবাসী সরকার গঠিত হয়।

১০ জানুয়ারি, ১৯৭২
পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

১৯৭৩ সাল
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০০টির মধ্যে ২৯২টি আসনে বিজয়ী হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সাল
প্রথম বাঙালি নেতা হিসেবে জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৫ আগস্ট, ১৯৭৫
কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কাপুরুষোচিত এই হত্যাকাণ্ডে কেঁপে ওঠে বিশ্ববিবেক। বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান জাতির পিতার দুই কন্যা- বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট বোন শেখ রেহানা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply