প্রবাসী মা-ছেলে করোনায় আক্রান্ত, সাদুল্লাপুরে দোকান বন্ধের ঘোষণা দিলেন ব্যবসায়ীরা

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুুরে আমেরিকা প্রবাসী মা-ছেলের করোনাভাইরাস শনাক্ত ও তাদের সংস্পর্শে থাকা আত্মীয় পরিবারের শতাধিক ব্যক্তির সাস্থ্য পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের পর আতঙ্ক বাড়ছে জেলা জুড়েই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের মার্কেটসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সাদুল্লাপুর উপজেলা বণিক সমিতি এই ঘোষণা দেয়। নিজেদের সুরক্ষায় ও সংক্রমণ এড়াতে বণিক সমিতির সিদ্ধান্তে উপজেলা শহরের সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। তবে ওষুধ ও কাঁচাবাজারসহ নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকবে।

বণিক সমিতির সিদ্ধান্তে বলা হয়, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সীমিত আকারে মার্কেটসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অতি প্রয়োজনে খোলা রাখা যাবে। তবে বিকাল ৫ টার পর উপজেলা শহরের সকল দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে।

এদিকে, করোনায় আক্রান্ত প্রবাসী মা-ছেলের সংস্পর্শে সাদুল্লাপুর, সদর ও সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার শতাধিক ব্যক্তিকে সনাক্ত করেছে আইইডিসিআর ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এছাড়া তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদেরও খোঁজ অব্যাহত রেখেছেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ সাদুল্লাপুরের হবিল্লাপুর গ্রামের একটি বাড়িতে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে আসেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মা-ছেলে। তারা আত্মীয়স্বজনসহ অর্ধশতাধিক লোকজনের সাথে দুদিন অবস্থান করে গাইবান্ধা শহরে নিজেদের বাড়ি চলে যান। ১৫ মার্চ প্রবাসী ছেলে জ্বরে আক্রান্ত হয়। বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে এলে তাদের দুইজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর’র প্রতিনিধি। পরে পরীক্ষায় তারা করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়। করোনা আক্রান্ত মা-ছেলের সংস্পর্শে আসা লোকজন গত ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৩ আসনের উপ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন।

এছাড়াও ১৩ মার্চ বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০০ মানুষ অংশ নেয়। করোনা আক্রান্তের খবর জানাজানি হলে স্থানীয় জনসাধারণের চাপে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ২২ মার্চ এক জরুরি সভার আয়োজন করে। সভায় পুরো এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি সাদুল্লাপুর ‘লক ডাউন’ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি ওই সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়নি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply