করোনাভাইরাসের প্রকোপে নাকাল বিভিন্ন দেশের পর্যটন

|

করোনাভাইরাসের প্রকোপে নাকাল বিভিন্ন দেশের পর্যটন। লকডাউন আর জরুরি অবস্থায় ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য থেকে এশিয়ার সবগুলো দেশে বন্ধ পর্যটনকেন্দ্রগুলো। পাশাপাশি স্থগিত বিমান চলাচল, কড়াকড়ি সীমান্তেও। বিদেশিদের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ফাঁকা পর্যটন এলাকাগুলো।

দু’সপ্তাহ আগেও, বার্সেলোনার স্কয়ার মেতে ছিলো কার্ণিভালে অথচ করোনাভাইরাসের প্রভাবে পুরো এলাকা যেন এখন এক ভুতুড়ে নগরী। লকডাউন ঘোষণার পর খালি পড়ে আছে বিলাসবহুল হোটেলগুলো। ফাঁকা, একেকটি শপিংমল।

বার্সেলোনার এক হোটেল ব্যবস্থাপক ফ্রান্সিসকো বলেন, আমার চাকুরিজীবনে এমন হাহাকার পরিস্থিতি কখনো দেখিনি। এই স্কয়ারজুড়ে সব হোটেল, অথচ এখানে একটা মানুষও নেই। আমার ব্যবসা পুরো ধসে পড়েছে, হোটেল নিলামে তোলা ছাড়া উপায় নেই।

বার্সেলোনার এক প্রকৌশলী ডেভিড গোমেজ বলেন, আমি সাবওয়েতে চাকরি করতাম। মানুষজন না থাকায় বন্ধ সব সার্ভিস। তাই আমার চাকরিও চলে গেছে। এখানকার অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি পর্যটন, তাই বিদেশিরা না আসলে সবাই না খেয়ে মরবো।

করোনাভাইরাসের কারণে পুরো ইউরোপের চিত্রই এখন এমন। একদিকে জরুরি অবস্থা, অন্যদিকে বিমান চলাচল বন্ধ, সীমান্তে কড়াকড়ি, ফলে পর্যটক শূন্য এখন এসব দেশ।

ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যটন মৌসুম। দেশ বিদেশের ভ্রমণপিয়াসুদের পদচারণায় যেখানে মুখর থাকার কথা, বালি দ্বীপ, সেখানে পর্যটকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে নিজ নিজ দেশে।

ইন্দোনেশিয়ার বালি এক হোটেল ম্যানেজার লালু কুসনাওয়ান বলেন, এই সময়টা সবচেয়ে বেশি পর্যটক থাকে, সারা বছর এই মৌসুমের অপেক্ষায় থাকি। অথচ করোনার কারণে তাদের আসাই বন্ধ। দু চার জন যাওবা ছিলো, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা অসম্ভব।

বন্ধ রয়েছে মিসরের ঐতিহাসিক কায়রো মিউজিয়াম। এই পরিস্থিতি অন্যান্য সব ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর ক্ষেত্রেও। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে চলছে ধোয়ামোছা।

এদিকে, দীর্ঘ অবরোধের পর যখন একটু প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করেছিলো কাশ্মির, তখন বাধা হয়ে দাড়ালো করোনাভাইরাস। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে ডাল হ্রদসহ সব পর্যটন এলাকা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply