সেনাবাহিনী ছাড়া কোস্টারিকার সাত দশক

|

দারিদ্র ও সহিংতায় গুয়েতামালা, হন্ডুরাস, এবং এল সালভাদর থেকে অসংখ্য লোক উদ্বাস্তু হয়ে পাড়ি জমাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতির জন্য বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি পেয়েছে পানামা। নিকারাগুয়াতে রাজনৈতিক অস্থিরতা লেগেই থাকে।

পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর এমন ভয়াবহ সংকট সত্ত্বেও রাজনৈতিক স্থিরতা, অর্থনৈতিক প্রগতি, এবং জীবন যাপনের সন্তুষ্টি নিয়ে দিব্যি ভালো আছে কোস্টারিকা।

কোস্টারিকার নাগরিক জীবন

এ ভালো থাকার রহস্য কি? এ ভালো থাকার রহস্য হচ্ছে সেনাবাহিনী। না, সেনাবাহিনী দেশ পরিচালনা করছে না। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, দেশটিতে কোনো সেনাবাহিনী নেই। ১৯৪৮ সালে সেনাবাহিনী অবলুপ্ত করে কোস্টারিকা। চলতি বছর দেশটির সেনা বিহীন সাত দশক পূর্ণ হতে চলেছে।

রাজধানী সান খোসে

সেনাবাহিনীর পেছনে যে অর্থ ব্যয় হত, তা ব্যয় করা হচ্ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক সুরক্ষার মতো জীবন ঘনিষ্ঠ খাতে। এ ধরনের উদ্যোগই কোস্টারিকাকে পৌঁছে দিয়েছে অন্য সবার থেকে আলাদা অবস্থানে।

বিশ্ব ধরিত্রী সূচকে কোস্টারিকার রয়েছে সবার শীর্ষে। পাশাপাশি বিশ্ব সুখ সূচকে ২০১৭-তে লাতিন আমেরিকায় দেশটির অবস্থান প্রথম, আর বিশ্বব্যাপী ১২শ।

প্রকৃতির কোলে অপূর্ব সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র

মধ্য আমেরিকার ক্রান্তীয় জলবায়ুর দেশ কোস্টারিকা লালন করছে প্রকৃতির অপার সব সৌন্দর্য্য। জীব বৈচিত্র্যে ভরপুর দেশটির সবুজ গালিচাময় বন-বনানী পরিণত হয়েছে পর্যটকদের তীর্থ ভূমিতে। শুধু প্রকৃতি নয়, কোস্টারিকার জীবন যাত্রার মান পানামা বাদে অপরাপর মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। যদিও পানামার আয়ের বড় একটি উৎসব পানামা খাল।

যমুনা অনলাইন: এফএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply