হাদিসের ব্যাখ্যা বলছে, করোনায় মৃত ব্যক্তি ‘শহীদ’

|

বিশ্বজুড়ে করোনার তাণ্ডব চলছে। মারা গেছে হাজারও মানুষ। করোনায় মৃত মুসলিম ব্যক্তি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে ‘শহীদ’-এর মর্যাদার দাবিদার। অন্তত, রাসূল (সা.)-এর একাধিক হাদিসে সে ইঙ্গিত আছে।

সাধারণত কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিকেই শহীদ মনে করা হয়। কিন্তু ইসলামের প্রবর্তক, সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উক্ত ব্যক্তি ছাড়া আরো অনেক মৃত ব্যক্তিকে ‘শহীদ’র মর্যাদা লাভের সুসংবাদ দিয়েছেন। যাদের মৃত্যুকে সাধারণত ‘অপমৃত্যু’ মনে করা হয়। তবে, দুই মর্যাদায় তারতম্য থাকতে পারে।

হাদিসে আছে- মহামারিতে মৃত্যুবরণকরী ‘শহীদ’র মর্যাদা পাবেন। এ মর্যাদা সে ব্যক্তিও লাভ করবে যে মহামারি চালাকালীন আক্রান্ত এলাকায় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্য্য ধরে অবস্থান করে এবং সে সময় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। (বুখারি শরীফ:১/১৬২পৃ: হা: ৬৫৩)। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ ধারণ করা করোনায় মৃত ব্যক্তি ‘শহীদ’র মর্যাদা লাভ করার কথা।

এছাড়া, হাদিসে বলা আছে, নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণকারীও ‘শহীদ’র মর্যাদা পাবেন। (মাজমাউয যাওয়াইদ-৫/৩৮৯পৃ. হা: ৯৫৫৪)। করোনায় মৃত ব্যক্তিদের বড় অংশ নিউমোনিয়া জনিত কারণে মারা যাচ্ছেন। এ অর্থে তারাও ‘শহীদ’র মর্যাদার দাবিদার।

অপর একটি হাদিসের জ্বরে ভুগে মৃত্যুবরণকারী ‘শহীদ’র মর্যাদা পাবেন বলে উল্লেখ আছে।(উমদাতুল ক্বারী-১০/১৪৫)। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির অন্যতম লক্ষণ জ্বর। সুতরাং এ দিক থেকেও তিনি মুসলমান হয়ে থাকলে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে ‘শহীদ’র মর্যাদা লাভ করার দাবিদার।

তবে, ইসলাম ধর্ম মানুষকে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করতে উৎসাহিত করেছে। ফলে, মহামারি পরিস্থিতিতে মহামারি থেকে নিজেকে রক্ষার বিধি-বিধান মেনে চলাও প্রতিটি মুসলিমের অবশ্য কর্তব্য।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply