খাগড়াছড়ির অনেক এলাকায় পৌঁছেনি সরকারি ত্রাণ

|

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়িতে এখনও অনেক এলাকায় সরকারি ত্রাণ পায়নি দরিদ্ররা। এতে খেটে খাওয়া ও কর্মজীবীরা বিপাকে পড়েছেন সবচেয়ে বেশি।

এখন পর্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা ত্রাণ সামগ্রী পেলেও, ভাড়ায় চালিত সিএনজি ও রেন্ট এ কার চালকের পরিবার দেখেনি ত্রাণ সহায়তার মুখ। সাধারণ ছুটির কারণে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হতে না পারায় চালক, হেলপারদের অনেকেই অর্থকষ্টে ভুগছেন ।

খাগড়াছড়ি সিএনজি ও শ্রমযান কল্যাণ সমিতির (সিএনজি) সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম জানান, পর্যটক থাকলে সিএনজির চালক, শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করে। এখনতো সারাদেশই অবরুদ্ধ হয়ে আছে। যেখানে রাস্তায় মানুষজন নেই সেখানে পর্যটক পাবো কোথায়। গাড়ির চাকা ঘুরলেইতো পেট চলে চালক-শ্রমিকদের। তাই চালক-শ্রমিকরাও বিপাকে পড়েছে। এদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

অপরদিকে, রেন্ট-এ কার চালক সমিতির কোষাধ্যক্ষ নুরুল আলম জানান, তাদের সমিতিতে ৫০-৬০ জন চালক রয়েছে। এদের মধ্যে দুয়েকজন ছাড়া বাকিরা সবাই কমিশন ভিত্তিক চালক। গাড়ির চাকা ঘুরলেই চালকরা ভাড়ার কমিশন দিয়ে আয় করেন। দেশ অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় টানা বন্ধে গাড়ি, চালক সবই বসে আছে।

চালকদের সরকারি ত্রাণ ও সহায়তা পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভায় আবেদন করা হয়েছে কিন্তু এখনও কোনো সাড়া মেলেনি। এ সময় চালকদের সহায়তায় এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন চালক সমিতির কোষাধ্যক্ষ নুরুল আলম।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, সরকার যে বরাদ্দ দিয়েছে তা এখনও অনেকেই পায়নি। এদিকে, অসহায় মানুষরা বিপাকে পড়ে গেছেন। তাই সরকারি অনুদান পাওয়ার আগেই নিজ উদ্যোগে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছি আমি। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এ পর্যন্ত ১ হাজার পরিবারের চালসহ নিত্য প্রয়োজনী দ্রব্য পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন নাহার বলেন, সরকারিভাবে যে পরিমাণ বরাদ্ধ পাওয়া হয়েছে তা বিতরণ চলছে। ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি এলাকায়ও বিতরণ কার্যক্রম চলছে। তবে এখনও সবগুলো এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। চেষ্টা করা হচ্ছে উপজেলার আওতধীন প্রতিটি ওয়ার্ড যেন ত্রাণের আওতায় আসে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply