সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গ্যাস্ট্রিকজনিত কারণে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ভোর ৫টার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধুর নাম নাম শিল্পী খাতুন (৩৩)। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের সিরাজুল করিকরের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তার।
এদিকে শিল্পী খাতুনের মৃত্যুর পর এলাকায় করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গৃহবধূর স্বামী সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ২৭ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী শিল্পীর অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে বমি শুরু হয়। শনিবার সকাল পর্যন্ত বমি থামেনি। এসময় তার শরীরে জ্বর ছিল। পরবর্তীতে শনিবার দুপুরের পর শিল্পীকে তার বাপের বাড়ি বন্দকাটি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় স্থানীয় চিকিৎসক ডাঃ রুহুল আমিন তার শরীরে ১০৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস জ্বরের অস্তিত্ব পান। রক্তচাপ ছিল ৯০/৬০। ছিল শ্বসকষ্ট। রুহুল আমিনের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট কমে যায়। তবে বুকে গ্যাসের ব্যাথা ছিল।
মঙ্গলবার সকালে তিনি হোমিও চিকিৎসক ঠেকরা জামে মসজিদের পেশ ইমাম আব্দুস সামাদের কাছে চিকিৎসা নেন। সন্ধ্যায় তিনি ছেলে সপ ওয়ান বিন সিরাজ ও ফাওবান বিন সিরাজকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। কেন হাসপাতালে ভর্তি করেননি এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সামাদ বলেন, তারা ইসলামি অনুশাসনে চলেন ও শরীরে কোন করোনার লক্ষণ না থাকায় শিল্পীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।
বন্দকাটি দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দু’টোর দিকে তার মেয়ে শিল্পীর বমি ও বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা শুরু হয়। একপর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে গায়ে পানি ঢালতে বলে। তার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ায় তারা গায়ে পানি দেননি। একপর্যায়ে বুধবার ফজরের নামাজের পর শিল্পী মারা যায়।
আব্দুস সালাম বলেন, শিল্পীর মৃত্যুর পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উৎসুক জনতা তার বাড়িতে ভিড় করে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল রাসেল বিষয়টি জানার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তৈয়বুর রহমান যমুনা নিউজকে জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিশ্লেষণ করে আমরা করোনার কোন উপসর্গ পাইনি। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে।
Leave a reply