৩৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ

|

যুক্তরাজ্যের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ আনুমানিক ৩৬ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। করোনার কারণে ব্যবসা বিপুল লোকসানের কারণে এমন সিদ্ধান্ত বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বেশিরভাগ বিমান বসিয়ে রেখেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। তাই এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তারা ইউনিট ইউনিয়নের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। দুই পক্ষের সম্মতিতেই এমন ঘোষণা আসতে যাচ্ছে।

তবে দুই পক্ষ এমন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হলেও এখনো এ সংক্রান্ত চুক্তির বিষয়াবলী চূড়ান্ত না হওয়ায় তা স্বাক্ষর হতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্তটি কার্যকর হওয়ার মানে দাঁড়াচ্ছে সংস্থাটির ৮০% কর্মীই তাদের হারাতে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক ও লন্ডন বিমানবন্দরের সকল কর্মীদের ওপর প্রভাব ফেলবে। যারা চাকরি হারাচ্ছেন তারা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া স্কিমের আওতায় কিছু ক্ষতিপূরণ পাবেন। যা সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ ইউরো।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইউনিট ইউনিয়ন এর চেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ইতোমধ্যে তাদের পাইলটদের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে। ওই চুক্তির আওতায় দুই মাস পাইলটদের বেতনের অর্ধেক কর্তন করা হবে।

বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্যারেন্ট কোম্পানি হলো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স গ্রুপ। এই খাতে অন্যান্য প্রতিযোগী কোম্পানির চেয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের আর্থিক অবস্থান সবচেয়ে ভালো।

এছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ ভালো মুনাফা করেছে তারা। তাই একসঙ্গে এত কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি যুক্তরাজ্যের বিমান খাতের জন্য বড় হুমকি বলেও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে করোনার কারণে বিশাল এক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্বের বিমান পরিবহন খাত।

এদিকে ভার্জিন আটলান্টিকের অনেক কর্মচারীর চাকরি দু’মাসের জন্য স্থগিত করেছে এবং ক্রুরা তিন মাস ধরে কাজের বাইরে রয়েছেন।

দেশটি লকডাউনে যাওয়ার পরে, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ পেরু থেকে কয়েক শতাধিক ব্রিটিশ নাগরিককে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য সরকারী প্রত্যাবাসন বিমান চালাচ্ছে।

এটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে একটি যা আগামীতে আরও প্রত্যাবাসন বিমান চালাতে রাজি হয়েছে। কারণ অনেক মানুষ এখনও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আটকে রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply