করোনা সন্দেহে ভাড়াটিয়াকে তাড়িয়ে দিলেন বাড়িওয়ালা, গাছতলায় ঠাঁই

|

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কের জেরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। বাড়িতে ফিরতে না পেরে ওই ভাড়াটের এখন ঠাঁই হয়েছে গাছতলায়। খবর- আনন্দবাজার

গত ২৩ মার্চ সুধীর কেরাল থেকে বাড়িতে ফেরেন। সেখানে তিনি ট্রেনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন। সম্প্রতি লকডাউন ঘোষণা করায় কেরাল থেকে ফিরে আসেন তিনি। ক্যানিং থানার তালদি রাজাপুর এলাকায় সোনা ঘরামির বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকেন সুধীর। কেরালা থেকে ফিরে সরকারি নির্দেশ মেনে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর তিনি পরিবারের কাছে যান।

কিন্তু বাড়ির মালিক তাকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন। আগামী এক মাস যেন তিনি বাড়িতে না ঢোকেন সেই নির্দেশনাও দেন বাড়িওয়ালা। হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করিয়েই তিনি বাড়িতে ফিরেছেন বলে জানালেও তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি সেখানে। এমনকি গ্রামের লোকজন দিয়ে তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ।

পরে সুধীর আবার ক্যানিং হাসপাতালে চলে যান। শারীরিক সমস্যা না থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি নিতে চাননি চিকিৎসকরা। তারা ১৪ দিন হোম কোয়রেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু বাড়ি ফিরতে না পারায় তা সম্ভব হয়নি।

সুধীর বলেন, ‘বাড়িওয়ালা বাড়িতে ঢুকতে না দিলে আমি বিডিও অফিসে যাই। তারা আবার আমায় হাসপাতালে পাঠান। সেই থেকে এভাবে হাসপাতাল চত্বরেই গাছের নিচে দিনরাত কাটছে আমার।

বাড়িওয়ালা বলেন, যারাই বাইরে থেকে আসছেন, তাদের বাড়িতে একা থাকার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। আমার বাড়িতে অনেক মানুষ থাকেন। কমন পায়খানা, বাথরুম, টিউবওয়েল সবাই ব্যবহার করি। উনি এখানে থাকলে বাকিদের সমস্যা হতে পারে, তাই উনাকে ১৪ দিন বাইরে কাটিয়ে এখানে ফিরতে বলেছি।

সূত্র: আনন্দাবাজার পত্রিকা


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply