করোনা সন্দেহে বয়কট, ভারতে বিষন্নতায় যুবকের আত্মহত্যা

|

প্রতীকী ছবি।

করোনার প্রভাবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রতি মুহূর্তে সংক্রমণের ভয়। করোনাভাইরাসে বাড়িতে থাকা আক্রান্তের সংখ্যা দেখে সংক্রমণের আতঙ্কে আত্মহত্যার ঘটনাও হয়েছে একাধিক। এবার শুধুমাত্র সমাজের সন্দেহ প্রাণ কাড়ল এক ব্যক্তির।

ঘটনা ভারতের হিমাচলপ্রদেশের উনার বানগড় গ্রামের। রবিবার সকালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ৩৭ বছরের মোহাম্মদ দিলশাদ।

উনা সদরের এসএইচও দর্শন সিং জানান, সম্প্রতি দিল্লির নিজামুদ্দিনের তবলিঘি জমায়েতের ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফেরা এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন দিলশাদ। সেই কারণেই দিলশাদকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে গ্রামে ফেরার পর থেকেই সমস্যায় পড়েন দিলশাদ। সুস্থ হওয়ার সত্ত্বেও করোনা আতঙ্কে তাঁকে একপ্রকার একঘরেই করে দেন প্রতিবেশীরা।

ডিজিপি সীতারাম মার্দি জানান, কয়েকজন গ্রামবাসী এলাকায় গুজব রটিয়ে দেন যে দিলশাদকে আক্রান্ত সন্দেহেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ফিরেও স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারছিলেন না তিনি। সমাজ তাঁকে বয়কট করে। সেই বিষাদে রবিবার সকালে আত্নহত্যার পথ বেছে নেন দিলশাদ।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply