পোস্ট অফিসের প্রবীণ স্টাফকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান

|

করোনার সচেতনতা নিয়ে পোস্ট অফিসের স্টাফ সৈয়দ আহমেদকে (৭০) পিটিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিন চৌধুরী।

বৃদ্ধ সৈয়দ আহমেদ কুমিল্লার মনোরহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর ইউপির সদস্য আনোয়ার হোসেনের পিতা। ইউপি সদস্যের সঙ্গে চেয়ারম্যানের মতবিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় অনেকের ধারণা।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর বাজার এলাকায়। ওই ইউপি চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে আহত সৈয়দ আহমেদের বড় ছেলে কবির হোসেন বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর বাজারে নিজ বাড়ির সামনে মেম্বার আনোয়ারের ছোট ভাই মিজানুর রহমান দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিন চৌধুরী ১০-১৫ জন নিয়ে এসে তার ওপর অতর্কিত হামলা করে।

আনোয়ারের পিতা লক্ষণপুর পোস্ট অফিসে কর্মরত পোস্টাল সৈয়দ আহমদ বিষয়টি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান। কোনো জবাব না দিয়ে বৃদ্ধ সৈয়দ আহমেদকেও মারধর শুরু করেন চেয়ারম্যান। তাদের পিতা ও পুত্রের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন চলে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত সৈয়দ আহমদ ও তার ছেলে মিজানকে মনোহরগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ১০-১৫ দিন আগে ইউপি বোর্ড অফিসে ত্রাণ বিতরণসহ অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিনের সঙ্গে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ার হোসেনের বাকবিতণ্ডা হয়। বিশেষ করে ১০ টাকা কেজি চালের ডিলার নিয়ে এলাকার জনমনে বিতর্ক রয়েছে। এ ছাড়া ভিজিডি, ভিজিএফ, মূল সুবিধাভোগী প্রকল্পসহ অন্যান্য ভাতার তালিকা প্রণয়ন নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটতে পারে বলে অভিমত এলাকাবাসীর।

তবে পোস্ট অফিসের পিয়নকে মারধর করার কথা অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার বাড়ির সামনে মেম্বার আনোয়ারের বাড়ি পাশেই তাদের দোকান। বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সচেতনতার লক্ষ্যে বিগত কয়েকদিন যাবৎ তাদের দোকান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিলেও তারা মানছে না। ঘটনার দিন আমি নিজে গিয়ে দোকান বন্ধ করে দিতে চাইলে ওই মেম্বারের ভাই মিজান এতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে আমার সঙ্গে থাকা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানকে মারধর করে। ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসন ও দলীয় শীর্ষ নেতারা দেখভাল করছেন।

এ ব্যাপারে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply