উহানের পর এবার চীনের সুইফেনহেতে করোনার থাবা

|

উহানের পর করোনা সংক্রমণ নিয়ে আলোচনায় চীনের শহর সুইফেনহে। সম্প্রতি, রুশ সীমান্তবর্তী এ এলাকায় শনাক্ত হয়েছে ৮৬ করোনা রোগী; যাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চীনের দাবি, তাদের সবাই বিদেশফেরত। বিস্তার ঠেকাতে, পুরো এলাকা লকডাউন করেছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় চীন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরুর পর ফেব্রুয়ারিতেই চীনের সাথে সীমান্ত বন্ধ করে রাশিয়া। তখন উহান থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরের সীমান্তবর্তী শহর সুইফেনহে-তে কারো সংক্রমণ হয়নি। অথচ, দু’মাস পর সীমান্তবর্তী শহরটিতে মিললো কোভিড নাইনটিনের উপস্থিতি।

চীনের ইঙ্গিত, নতুন আক্রান্তরা সম্প্রতি বিদেশফেরত। কিছুদিন আগেই মস্কো থেকে ভ্লাদিভস্ক হয়ে ঢোকেন চীনের ভূখণ্ডে। এই খবরে বিচলিত স্থানীয়রা।

তবে পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তাই, তড়িঘড়ি নেয়া হয় ব্যবস্থা। প্রথম রোগী শনাক্তের পরই, ৯ এপ্রিল থেকে গোটা শহর করা হয় লকডাউন। নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক-অস্থায়ী হাসপাতাল।

সুইফেনহে’র অস্থায়ী হাসপাতালের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ওয়াং জিয়াকুন বলেন, ১৩ তলা ভবনটির সম্পূর্ণটাই সংস্কারের করা হচ্ছে। এক থেকে তিনতলা পর্যন্ত থাকবে ডাক্তার-নার্সদের থাকার ব্যবস্থা। আর, ১১তলা পর্যন্ত রোগীদের করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে। বাকিগুলোয় থাকবে চিকিৎসা সরঞ্জাম। এছাড়া, ভূগর্ভে থাকছে ৫০ কিউবিক মিটারের একটি কাঁচের কন্টেইনার।

সুইফেনহে’র অস্থায়ী হাসপাতালের প্রকল্প মহাপরিচালক সুন লি বলেন, এই হাসপাতালে বর্তমানে যারা কাজ করছেন, তারা সবাই উহানে করোনা মোকাবেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। মাঠ পর্যায়ের জ্ঞান থেকেই তারা সংস্কার কাজ করছেন হাসপাতালটিতে। এছাড়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা শনাক্তে সক্ষম বা হৃদরোগের চিকিৎসকরা বিভিন্ন পর্যায়ে যোগ দিবেন।

ভাইরাসের উৎসস্থল উহানে এখন আর নতুন সংক্রমণ নেই। তবে, বিদেশফেরতদের সংক্রমণ ঠেকাতে বাড়িত সতর্কতা বেইজিংয়ের। যে কারণে, মাত্র এক লাখ লোকের শহর হলেও, সুইফেনহে’র পরিস্থিতি নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না চীনারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply