দেশের যেসব জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে

|

করোনা মোকাবেলা এবং করোনা সংক্রমণরোধে দেশের এক–তৃতীয়াংশের বেশি জেলা এখন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ এপ্রিল প্রথম নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলা লকডাউন করা হয়। এরপর প্রতিদিনই লকডাউন করা জেলার সংখ্যা বাড়ছে।

লক ডাউনে ঘোষণাকৃত জেলার সাথে অন্য জেলার প্রবেশ ও বাহির হবার সকল প্রকার রাস্তাঘাট বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য কোনও পথে জেলার কেউ বাইরে যেতে পারবে না এবং জেলার বাহিরে থেকে কেউ জেলার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এ সময় সব ধরণের গণপরিবহন ও জনসমাগম বন্ধ থাকবে ।

তবে লকডাউনে জরুরি পরিসেবা যেমন চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং, ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও কর্মী ইত্যাদি এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য জরুরি পরিসেবা এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।

জানা যায়, গত দুই দিনে আরও পাঁচ জেলা এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার লকডাউন করা হয় গোপালগঞ্জ, নীলফামারী ও ময়মনসিংহ জেলা। আর গত বুধবার লকডাউনের তালিকায় যুক্ত হয় শরীয়তপুর, দিনাজপুর ও নওগাঁ জেলা। সব মিলিয়ে ৬৪টি জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৬টি জেলা লকডাউন করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের আরও ৬ উপজেলায় লকডাউন চলছে।

যেসব জেলা লকডাউন:
নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, দিনাজপুর ও নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, নীলফামারী ও ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, সিলেট, ঠাকুরগাঁও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাজীপুর, রাজবাড়ী, সুনামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, কক্সবাজার, নরসিংদী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, গাইবান্ধা, চাঁদপুর, পিরোজপুর ও সাতক্ষীরা জেলা লকডাউন করা হয়। এ ছাড়া পটুয়াখালীর দুমকি, মাদারীপুরের শিবচর, বরগুনার আমতলী, ঢাকার সাভার, টাঙ্গাইলের বাসাইল ও ট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলাতেও লকডাউন চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply