করোনাভাইরাস পরীক্ষায় চীনের কাছ থেকে কেনা র্যা পিড ডায়াগনস্টিক হোম কিট কাজে লাগছে না যুক্তরাষ্ট্রের। রোগ নির্ণয় করতে গিয়ে দেখা গেছে, সম্পূর্ণ ব্যর্থ এ কিট। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ঠেকাতে এ কিট এনছিল দেশটি।
চীনের দুই সংস্থার কাছ থেকে ২ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে ২০ লাখ অ্যান্টিবডিভিত্তিক র্যা পিড ডায়াগনস্টিক হোম কিট কিনেছিল ট্রাম্প সরকার।
২০ লাখ র্যা পিড ডায়াগনস্টিক হোম কিটের দাম হিসেবে এই অর্থ অত্যন্ত চড়া। তার ওপর আবার আগাম টাকা দিয়ে এই কিট কিনতে হয়। বিশেষ বিমানে নিয়েও আসতে হয় চীন থেকে। তা ছাড়া এই কিট প্রযুক্তিগতভাবে কতটা উন্নত তা খতিয়ে দেখাও হয়নি।
ঘরে বসেই নাগরিক এটি ব্যবহার করে নিজেই রোগপরীক্ষা করতে পারবেন এই ভরসাতেই যুক্তরাষ্ট্র এত চড়া দাম দিয়ে এ কিট কেনে।
এই কিটের প্রশংসায় খোদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী যিনি করোনামুক্ত হয়েছেন বলেছিলেন, ‘এই কিটই করোনা মোকাবেলায় গেম চেঞ্জার।’
কিন্তু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে ওই কিটের পরীক্ষা করার পর দেখা গেছে, এগুলো কোনো কাজে আসবে না। এই কিট কোনোমতেই নির্ভুলভাবে রোগ নির্ণয় করতে সক্ষম নয়। এখন এই খরচ হয়ে যাওয়া বিপুল অর্থের অন্তত কিছুটা চীনের কাছ থেকে যেভাবেই হোক ফেরত পেতে চেষ্টা করছে আমেরিকা।
শুধু লকডাউন দিয়ে করোনাকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, তা বুঝে গিয়েছে আমেরিকাসহ সারাবিশ্ব। প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরীক্ষা এবং আক্রান্তদের থেকে সুস্থদের দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
জনস্বাস্থ্যবিষয়ক চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, এই কিট ব্যবহার না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না। অ্যান্টিবডিভিত্তিক র্যা পিড ডায়াগনস্টিক কিট ভারতও কিনেছে। তা পরীক্ষার দায়িত্বে থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
Leave a reply