গবেষণাগার থেকে করোনা ছড়ানোর অভিযোগ গুজব: চীন

|

গবেষণাগার থেকে কোভিড নাইনটিন ছড়ানোর অভিযোগকে গুজব বলে অভিহিত করেছে, চীনের আলোচিত প্রতিষ্ঠান উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগের পর, প্রথমবারের মতো মুখ খুললো তারা।

প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অভিযোগ আছে, এখানকার গবেষণাগার থেকেই, ছড়ায় কোভিড নাইনটিন। তবে এতোদিন বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলো প্রতিষ্ঠানটি। শনিবার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে চীনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর প্রথম মুখ খুললো তারা। তারা জানায় গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরির পুরো বিষয়টি গুজব।

উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির পরিচালক ইউয়ান ঝিমিং বলেন, এখান থেকে ভাইরাস ছড়ানোর প্রশ্নই ওঠেনা। গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের খুবই কঠোর সুরক্ষা নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি নিয়ে গুজব কেন? এর একটাই কারণ, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি উহানে অবস্থিত। অনেকে তাই কাল্পনিক যোগসূত্র তৈরির লোভ সামলাতে পারছেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কিছু গণমাধ্যমেও কোভিড নাইনটিনের জন্য দায়ী করা হয়েছে, উহানের গবেষণাগারকে। তবে, প্রতিষ্ঠানটির দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে মানুষকে।

ইউয়ান ঝিমিং বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করা খুব ভয়ংকর। মার্কিন সিনেটর টম কটন এখান থেকে ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গণমাধ্যমেও বিষয়টি এসেছে। কিন্তু বক্তব্যের পক্ষে কোনো যুক্তি বা প্রমাণ নেই তাদের। এমনকি আমেরিকার বিজ্ঞানীরাও এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিরুদ্ধে।

উহানে ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভাইরাস গবেষণার এ প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালে এশিয়ার প্রথম ‘বায়োসেফটি লেভেল ফোর’ ল্যাব চালু হয় এখানে। যেখানে সংরক্ষিত আছে, প্রায় দেড় হাজার প্রজাতির ভাইরাস। অবশ্য, এ বিজ্ঞানীর দাবি, বিশ্বের কোনো গবেষণাগারেরই, কোভিড নাইনটিন তৈরির ক্ষমতা নেই।

ইউয়ান ঝিমিং বলেন, কৃত্রিমভাবে এমন একটি ভাইরাস তৈরির জন্য অসাধারণ-অভূতপূর্ব মাত্রার বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন, যা মানুষের বুদ্ধিসীমার বাইরে। এখনও সে সক্ষমতা মানবজাতি অর্জন করেনি। দীর্ঘদিন গবেষণার অভিজ্ঞতায় দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, এর কাছাকাছি ভয়াবহতার ভাইরাস তৈরির ক্ষমতাও মানুষের হয়নি এখনো।

কোন কোন বিজ্ঞানীর মতে, উহানের গবেষণাগারে বাদুরের ওপর ভাইরাসের পরীক্ষা চালানোর সময় ঘটে বিপত্তি। ছড়ায় সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply