বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সারাদেশের মতো এই ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে আছে বাংলাদেশও। কৃষকের মাঠের ধান পেকে গেছে কিন্তু লকডাউনের কারণে শ্রমিক পাচ্ছে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে শ্রমিক নেয়ার টাকাও জোগাড় হচ্ছে না। আবার এদিকে আগাম বন্যার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ফলে ফসল নিয়ে বিপদে পড়েছে কৃষক। তাদের সহায়তা করতে হাওরাঞ্চলের শিক্ষক-শিক্ষার্থিদের আহ্বান জানিয়েছেন গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন।
তিনি বলেন, বৃহত্তর সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার হাওড় অঞ্চলের জেলাসমূহে বোরো ধান কাটার সময় শুরু হয়েছে। হাওড় এলাকায় বছরে একবারই ফসল ফলে। এই ফসল আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এবার করোনাভাইরাস প্রভাবের ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খাদ্য সংকট হতে পারে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সেইদিক দিয়ে হাওড় অঞ্চলের ধান যথাসময়ে এবং দ্রুততার সাথে সংগ্রহ করা খুবই জরুরি।
সচিব আরও বলেন, এইক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্যবৃন্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। ধান কাটার জন্য এলাকার বাইর থেকে আসা শ্রমিকদের থাকার জন্য হাওড় এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকবৃন্দ তাদের এলাকার তাদের প্রাক্তন ছাত্র যারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে যাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ এবং যারা লেখাপড়া না করে অলসভাবে সময় কাটায় তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে এই চরম বিপদের সময় কৃষকদের পাশে দাড়ানো জন্য কাজ করতে পারেন। আমার বিশ্বাস আপনারা যদি আপনাদের প্রাক্তন ছাত্রদের প্রকৃতভাবে অনুরোধ করেন এবং উদ্বুদ্ধ করেন তবে তারা আপনাদের অনুরোধ শুনবে।
Leave a reply