ইরানকে ভেন্টিলেটর দিতে চাই ট্রাম্প

|

করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় ইরানকে সহায়তায় ভেন্টিলেটর পাঠাতে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শনিবার কোভিড-১৯ রোগের সর্বশেষ তথ্য জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইরানকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছি। তাদের ভেন্টিলেটর লাগলে আমি তা পাঠিয়ে দেব। আমাদের হাজার হাজার অতিরিক্ত ভেন্টিলেটর পড়ে আছে। আমাদের ভেন্টিলেটরের বিশাল মজুদ।-খবর রয়টার্স ও আল-আরাবিয়াহ

ট্রাম্প বলেন, যখন আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখনকার চেয়ে বর্তমান ইরান অনেক বদলে গেছে। ইরান পুরো মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছিল, কিন্তু এখন তারা কেবল টিকে থাকতে চাচ্ছে। সেখানে প্রতি সপ্তাহে বিক্ষোভ হচ্ছে। তারা মহামারির বিশাল বোঝা বহন করছে।

এদিকে মহামারির জন্য সচেতনভাবে চীন দায়ী হলে দেশটিকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মহামারির মোকাবেলায় বেইজিংয়ের ভূমিকায় সমালোচনা বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগে চীন থেকেই তা বন্ধ করা সম্ভব হতো, কিন্তু সেটি হয়নি।

বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে কথার লড়াইয়ের মধ্যে সর্বশেষ মার্কিন বাক্যবাণ হচ্ছে ট্রাম্পের এই বক্তব্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপ মোকাবেলায় যখন দুই দেশের মধ্যে নজিরবিহীন সহায়তা দরকার, তখন তাদের মধ্যকার সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়ছে।

ট্রাম্প বললেন, যদি এটা কোনো ভুল হয়ে থাকে, ভুল তো ভুলই। কিন্তু তারা যদি সচেতনভাবেই দায়ী হয়, তাহলে আমি বলতে চাচ্ছি, তখন নিশ্চিতভাবেই তারা ফল ভোগ করবে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে, সেই ব্যাখ্যা দেননি এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

গত বছরের শেষ দিন উহান থেকে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের পর ট্রাম্প ও তার জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা চীনের বিরুদ্ধে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ তুলেছেন।

আর চলতি সপ্তাহে ‘চীন-ঘেঁষা’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

ভাইরাসটি নিয়ে বেইজিং ও ওয়াশিংটন বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছে। যদিও প্রথম দিকে চীন ও দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অতিরিক্ত তারিফ করেছেন ট্রাম্প।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply