করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হবে; সেই সাথে জীবনও চালাতে হবে। তাই লকডাউনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালুর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কয়েকটি জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এই আহ্বান জানান। ধান কাটা অব্যাহত রাখার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, অর্থনীতি সচল থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের নির্দেশও দেন তিনি।
তিনি জানান, প্রতি জেলায় করোনায় সুরক্ষা ও ত্রাণের বিষয়টি দেখভাল এবং রিপোর্ট দেবেন একজন করে সচিব।
মহামারি মোকাবেলার খবর নিতে ভিডিও কনফারেন্সিং জেলায় জেলায় যোগাযোগ করছেন প্রধানমন্ত্রী। তার ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার মতবিনিময় করেন ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আটটি জেলার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এপ্রিল জুড়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আবারও আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। কৃতজ্ঞতা জানান ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারে অগ্রাধিকার পাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
মহামারি, লকডাউন-শাটডাউনে অর্থনীতি হুমকির মুখে। এর প্রভাবে পুরো বিশ্ব দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে। তাই খাদ্য উৎপাদন ও পরিবহণে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে প্রণোদনাটা দিয়েছি, এটা শুধু এই বছরের জন্য না। আগামী তিন বছর আমাদের অর্থনীতির চাকা যাতে সচল থাকে, সেটা মাথায় রেখে এটা আমরা অব্যাহত রাখবো। যাতে আমাদের দেশের মানুষ কষ্ট না পায়।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী আজকে মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাস। যার ফলে হয়তো দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। সেখান থেকে আমাদের দেশকে বাঁচানো এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা, এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
রমজানে খাদ্যের সরবরাহ চালু রাখার নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, খাদ্য পণ্যের সংকট যাতে না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখছে সরকার।
একই সঙ্গে করোনার প্রকোপ বিবেচনা করে ধীরে ধীরে বিশেষায়িত শিল্প কারখানা চালুর বিষয়ে মত দেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রমঘন অঞ্চলগুলোতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্টদের আরও সতর্ক হবার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
Leave a reply