মাওলানা সাদ কাকরাইলে, বিক্ষোভকারীরা সরে গেছে

|

প্রতিবাদের মুখে অনেকক্ষণ বিমানবন্দরে আটকে থাকার পর অবশেষে কাকরাইল মসজিদে পৌঁছেছেন ভারতের তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি। বুধবার বিকালে পুলিশ প্রহরায় তাকে বিমানবন্দর থেকে কাকরাইল মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়। ইজতেমায় অংশ নিতে তিনি ঢাকায় এসেছেন। এরআগে সাদের আগমনের প্রতিবাদে দিনভর বিমানবন্দর এলাকায় সড়ক আটকে প্রতিবাদ করে তাবলিগ জামাতের একাংশ। এরফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।

উত্তরা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার জয়দেব কুমার ভদ্র জানান, বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আমদের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। আমরা সে বিষয়ে তৎপর আছি। কাউকে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না।’

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এবারের ইজতেমায় মাওলানা সাদের অংশ নেয়ার বিষয়ে তারা আগে থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন। এ মোতাবেক তাদের আশ্বাসও দেয়া হয়েছিল যে, মাওলানা সাদ এবার আসছেন না। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত উপেক্ষা করে মাওলানা সাদকে নিয়ে আসায় তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

উল্লেখ্য, মাওলানা সাদ ‘তবলিগ করা ছাড়া কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না’ বলে বক্তব্য দেয়ায় তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারীরা। তারা মাওলানা সাদকে এ বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। কিন্তু তিনি উল্টো যুক্তি দেন। এ নিয়ে মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। দেওবন্দের অনুসারী বাংলাদেশের আলেমরা সাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তাকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় আসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশ শাখার ১১ শূরা সদস্যের মধ্যে ছয়জনই আলেমদের এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন।

উল্লেখ্য, আগামী ১২ জানুয়ারি ও ১৯ জানুয়ারি দুই দফায় টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply