কিম জং-উনের হার্টে অস্ত্রোপচার, অবস্থা সংকটাপন্ন দাবি সিএনএন’র

|

চলতি মাসের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের হার্টে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এরপর নিজ বাড়িতেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিবেদনের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে।

এদিকে কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন’র দাবি, চিকিৎসাধীন থাকার পর উত্তর কোরীয় নেতার স্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।

ডেইলি এনকে ওয়েবসাইটের দাবি অনুসারে, গত ১২ এপ্রিল দেশটির পূর্ব উপকূলীয় হায়াংসান কাউন্টিতে একটি হাসপাতালে কিমের অস্ত্রোপচার হয়েছে। বর্তমানে মাউন্ট কুমগ্যাং রিসোর্টের একটি বাড়িতে ৩৬ বছর বয়সী এই রাষ্ট্রপ্রধান চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিবেদনে অজ্ঞাতনামা সূত্রের বরাত দেয়া হয়েছে।

তবে এ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আন্তঃসীমান্ত বিষয়াদি নিয়ে কাজ করা দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, ওয়াশিংটনও বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছে। অস্ত্রোপচারের পর মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কিম জং-উন।

কিন্তু সিএনএনের প্রতিবেদনকে উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার খবরাখবর রাখা দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা।

ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে কিমকে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। এতে তার স্বাস্থ্যহানির বিষয়ে কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবন ব্লু হাউস জানায়, উত্তর কোরিয়ায় কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা তাদের নজরে আসেনি।

ডেইলি এনকের খবর বলছে, ব্যাপক ধূমপান, স্থূলতা ও অতিরিক্ত কাজের দরুন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কিমের স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

গত বছরের অক্টোবরে পেকটু পাহাড়ের বন ও তুষারে ঢাকা মাঠে কিমের সাদা ঘোড়ায় চড়া অবস্থায় একটি ছবি প্রকাশ করেছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।

খবর অনুসারে, গত ১১ এপ্রিল ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করার পর হাসপাতালে ভর্তি হন কিম।

এরপর গত সপ্তাহের পিয়ংইয়ংয়ের স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময়ও তাকে দেখা যায়নি। এমনকি কিম ইল-সুংয়ের আড়ম্বরহীন জন্মবার্ষিকী উদযাপনেও তাকে দেখা যায়নি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply