চার বিভাগে বাড়ছে করোনা রোগী

|

দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ১৪৫ জন। অপরদিকে এ ভাইরাসে সংক্রমিতদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪১৮ জন। করোনা শনাক্তের ৫০তম দিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪১৬ জন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬১টিতে রোগী চিহ্নিত হওয়ায় সারা দেশই এই ভাইরাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সব বিভাগেই রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তবে গত চার দিনের পরিসংখ্যান বলছে, চার বিভাগে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বৃহস্পতিবারের রাতের হিসাব অনুযায়ী, মোট রোগীর ৫০ দশমিক ৫৯ শতাংশই ঢাকা শহরে। আর ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় আছে ৩৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৩.৮৩ শতাংশ, সিলেটে ১.২ শতাংশ, রংপুরে ১.৭২ শতাংশ, খুলনায় দশমিক ৯৩ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৩.৪১ শতাংশ, বরিশালে ২.১১ শতাংশ এবং রাজশাহীতে দশমিক ৭৯ শতাংশ রোগী পাওয়া গেছে।

২৫ এপ্রিল দেখা গেছে, মোট রোগীর ৫১ দশমিক ৫০ শতাংশই ঢাকা শহরে। আর ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় আছে ৩৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ, ৮৬ শতাংশের বেশি ঢাকা বিভাগে। এই সময়ে চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে রোগী বেড়েছে।

এ তিনটিতে দেশের মোট রোগীর মধ্যে বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৯৩, ১ দশমিক ৬০ এবং ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

চার দিন পর রংপুরে হয়েছে ১ দশমিক ৬৬, খুলনায় দশমিক ৮৮, বরিশালে ১ দশমিক ৯৯ এবং রাজশাহীতে দশমিক ৭৬ শতাংশ রোগী পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধির হার ঢাকা শহরে। ঢাকার ১৫৬ স্থানে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, করোনা শনাক্তদের মধ্যে বেশিরভাগই স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতকর্মী।

অর্থাৎ চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নকর্মী, গাড়িচালক, ওয়ার্ডবয় ও আয়া আছেন শনাক্তদের মধ্যে। এখন পর্যন্ত একজন চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন।

এ ছাড়া শুধু চিকিৎসক নয়, বিভিন্ন সেবা সংস্থা যেমন পুলিশের অনেকেই সংক্রমিত হয়েছেন। তবে গণমাধ্যমে অন্তত একডজন কর্মী শনাক্ত হলেও ব্রিফিংয়ে তাদের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করা পাঁচজনের মধ্যে পুরুষ তিন জন এবং নারী দু’জন। এদের মধ্যে ঢাকার চারজন এবং দোহারে একজন। যারা মারা গেছেন তাদের একজন শিশু।

তার বয়স ১০ বছরের নিচে। মৃত শিশুটির কিডনির সমস্যা ছিল। অন্যদের মধ্যে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে একজন এবং ৫১-৬০ বছরের মধ্যে তিনজন ছিলেন।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, নমুনা সংগ্রহ গত দিনের তুলনায় সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ বেশি এবং নমুনা পরীক্ষা গত দিনের চেয়ে চার শতাংশ বেশি।

যারা গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তারা হাসপাতালে ভর্তি থেকে সুস্থ হয়েছেন। আমাদের বেশিরভাগ আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়িতে অবস্থান করে সুস্থ হয়ে যান, সেই তথ্য আমরা এখানে দেই না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply