পুকুরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা স্বাস্থ্যকর্মীকে বাড়ি পৌঁছে দিল প্রশাসন

|

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ:

ঢাকার একটি হাসপাতালে চাকরি করেন লোপা মল্লিক নামে এক নারী স্বাস্থ্যকর্মী। গত মঙ্গলবার ছুটি নিয়ে নিজ গ্রাম কোটালীপাড়া উপজলোর লখন্ডায় এসে নিগ্রহের স্বীকার হওয়া স্বাস্থ্যকর্মী পুকুর পাড় থেকে নিজ ঘরে ফিরতে পেরেছে। গত প্রায় ১ সপ্তাহ সেখানেই তাকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হয়েছে। সমাজের কিছু দুষ্ট চক্র তাকে করোনা রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকার অজুহাতে বাড়ি থকেে দূরে একটি পুকুর পাড়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করে।

গোপালগঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীকে নিগ্রহের ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে, কোটালীপাড়া উপজেলার এসিল্যান্ড মহসিন উদ্দিনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিনদিনের মধ্যে কমিটি প্রতবেদন জমা দেবে।

গতকাল লোপা মল্লিকের সাথে দেখা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান। তিনি জানান, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ২১ এপ্রিল ছুটি নিয়ে কোটালীপাড়ার লখন্ডা গ্রামে নিজ বাড়িতে যান ঢাকার ইমপালস হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী লোপা মল্লিক। গ্রামে ফিরলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত বাড়ৈসহ অন্যরা তাকে নির্জন জায়গায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করে। বাড়ির প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি শুকনো পুকুরে ফেলে রাখা হয় ৬ দিন।

জানা গেছে, ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে চাকরি করতেন এই নারী স্বাস্থ্য কর্মী।
করোনাভাইরাসের কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছুটি দিয়ে দেয়। ছুটিতে তিনি বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত বাড়ৈর নির্দেশে এলাকাবাসী এই নারী স্বাস্থ্য কর্মীকে তার বাড়ির প্রায় ৪০০মিটার দূরে একটি নির্জন স্থানে পুকুরের ভিতর তালপাতা দিয়ে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply