করোনা মোকাবেলায় আইডল আফ্রিকার দেশ সেনেগাল

|

করোনা মোকাবেলায় বিশ্বের কাছে রীতিমতো আইডল হয়ে উঠছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। ফুটবল আর রেসলিং এর জন্য পরিচিত দেশটি এখন থ্রিডি প্রিন্টিং এর মাধ্যমে স্বল্প খরচে তৈরি করছে করোনা চিকিৎসায় মহামূল্যবান ভেন্টিলেটর।

মাত্র এক ডলারে করোনা শনাক্তের কিটও উদ্ভাবন করেছেন তাদের গবেষকরা। তাই এখন মাত্র ৫৬টি আইসিউ আর একই সংখ্যক ভেন্টিলেটর থাকলেও করোনা মোকাবেলায় বেশ সাহসী বলা হচ্ছে সেনেগালকে।

করোনার মহামরারিতে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য সারা বিশ্বেই এখন ভেন্টিলেটরের চাহিদা আকাশচুম্বী। আফ্রিকার স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এর সংকট তুলনামূলক বেশি। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগালের এক দল গবেষক উদ্ভাবন করেছেন সাশ্রয়ী ভেন্টিলেটর। থ্রিডি প্রিন্টার মাধ্যমে তৈরি এসব ভেন্টিলেটর তৈরিতে খরচ পড়বে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ ডলার। যেখানে একটি উন্নতমানের ভেন্টিলেটরের দাম ৫০ হাজার ডলারের বেশি।

সেনেগাল গবেষক ইব্রাহিমা গুয়েই বলেন, আমার দুই সহকর্মী ইলেকট্রনিক্স এর ওপর কাজ করছে। তারাই মূলত ভেনন্টিলেটরের ডিজাইনার। এর প্রধান পার্থক্য হলো মূল্যে। কারণ হাসপাতালে যে ভেন্টিলেটরগুলো আছে সেগুলো বেশ ব্যয়বহুল। তাই এই মুহূর্তে থ্রিডি পদ্ধতির ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছি। সারা বছর ইবোলার মতো ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে আসা দেশটি এখন স্বাস্থ্য খাতে বিশ্বের কাছে বিস্ময়।

সেনেগালের আরেক গবেষক, ওসমানি সাঈদি বলেন, জরুরি এই সময় দিনরাত পরিশ্রম করেছি। টানা ১০ দিন কাজ করেছি ভেন্টিলেটরের একটি ডিজাইন তৈরির জন্য। এখনও দম ফেলার সময় পাচ্ছি না। উল্লেখ্য, কেবল ভেন্টিলেটর নয়, বিশ্বজুড়ে আলেচানায় সেনেগালের এক ডলারের করোনা শনাক্তের কিট।

কোভিড নাইনটিনের কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি, তাই রোগী শনাক্ত করে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতের তাগিদ দিচ্ছে ডব্লিউএইচও। তাই টেস্ট করাকে গুরুত্ব দিয়ে মাত্র এক ডলারের কিট তৈরি করে করা হচ্ছে পরীক্ষা। সেনেগালে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজারেরও কম।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply