আনুষ্ঠানিকতা করতে ত্রাণের জন্য ৪ ঘণ্টা রোদে অপেক্ষা

|

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাড়ে পাঁচ’শ মানুষ। শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতার জন্য ত্রাণ নিতে আসা মানুষদের খোলা মাঠে প্রচন্ড রোদে বসিয়ে রাখা হয় প্রায় চার ঘণ্টা।

মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার উদ্যোগে শহরের নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে পৌর এলাকার সাড়ে পাঁচ’শ ত্রাণ সহায়তা বিতরণের আয়োজন করা হয়। কিন্তু অতিথি আগমনে দেরি হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে দেওয়া হয়নি ত্রাণ। এতে বিরক্ত হয়ে অনেকে ত্রাণ সহায়তা না নিয়ে বাড়ি চলে যেতে উদ্যত হন।

যদিও ব্রাহমণবাড়িয়া পৌর মেয়র নায়ার কবির দাবি করছেন, সচিব আসতে দেরি হওয়ায় বিলম্ব হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জেলার ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) তপন কান্তি ঘোষ।

ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য স্টেডিয়ামে সাড়ে পাঁচশো হতদরিদ্র মানুষকে জড়ো করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সকাল ১০টায় ত্রাণ বিতরণের কথা থাকলেও অতিথির আগমনে বিলম্ব হওয়ায় ত্রাণ সহায়তা প্রার্থীদের বসিয়ে রাখা হয় মাঠে। এদের অনেকেই নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে অনুষ্ঠানস্থলে এসেছিলেন। এর ফলে রোজা রেখে শুধু আনুষ্ঠানিকতার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে তারা ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে পড়েন।

দুপুর সোয়া ১২টায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এরপর শুরু হয় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।

প্রসন্ন দাস নামে এক ত্রাণ গ্রহীতা জানান, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি স্টেডিয়ামে এলে ২০ মিনিট পর তাকে মাঠে ঢোকানো হয়। এরপর অতিথিরা আসার পর সোয়া ১২টায় ত্রাণ দেয়া হয় তাকে। হোসনা নামে এক নারী জানান, ত্রাণ নিতে এসে অনেক কষ্ট হয়েছে। অনেককে বাড়ির কাজ ফেলে মাঠে বসে থাকতে হয়েছে। ত্রাণের জন্য দীর্ঘ সময় বসে থাকতে বয়স্কদের কষ্ট হয়েছে বেশি।

এব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির সাংবাদিকদের বলেন, ত্রাণ সহায়তা গ্রহীতারা সকাল ৯টায় চলে এসেছেন। আর সচিব ঢাকা থেকে এসেছেন সাড়ে ১০টায়। এরপর তিনি আমাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। তাই অনুষ্ঠান স্থলে যেতে যেতে সাড়ে ১১টা বেজেছে। সচিব শুধু উদ্বোধন করেছেন। পরে আমরা সবাইকে ত্রাণ দিয়েছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্র জানায় পৌর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর সাড়ে ৫’শ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতিজনেেক ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply