করোনা সঙ্কটে বেসামাল শিশু খাদ্য গুড়ো দুধের বাজার

|

ছবি: সংগৃহীত

বাড়ছে শিশু খাদ্যের দাম। বাজার স্বাভাবিক রাখার জন্য পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়নি। আমদানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে ১০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়ার তাগিদ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অস্পষ্ট প্রজ্ঞাপনে সুবিধা নিশ্চিত হচ্ছে না। ফলে এই খাতে তৈরি হয়েছে নৈরাজ্য।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বল্প সুদে জামানত বিহীন ঋণ সুবিধা নিশ্চিত না করলে সঙ্কট আরও বাড়বে।
করোনাভাইরাস সঙ্কটে বেসামাল শিশু খাদ্য গুড়ো দুধের বাজার। চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় বাজারে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে দাম।

দেশের এক কোটি ৩০ লাখের বেশি শিশু রয়েছে, যাদের বিকল্প খাদ্য এই গুড়ো দুধ। কিন্তু বাজারে সরবরাহ না থাকায় বাড়ছে ঝুঁকি।

আনোয়ার হোসেন ( সাধারণ সম্পাদক, বাফিসা) বলেন, উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে, এপ্রিল, মে এবং জুন এই তিন মাসের জন্য দেশে মোট গুড়ো দুধের প্রয়োজন তিন হাজার ৬৬৬ মেট্রিক টন। কিন্তু বর্তমানে আমদানিকৃত গুড়ো দুধের মজুদ আছে ৩৭ টন।

তিনি আরও জানান, সংকটের আশঙ্কা করে আগেভাগেই পরিস্থিতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে তুলে ধরে বাংলাদেশ ফুডস্টাফ ইম্পোর্টারস এন্ড সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশন, বাফিসা। গুরুত্ব বিবেচনা করে আমদানি বাড়াতে এই খাতের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রণোদনা সুবিধা দ্রুত ছাড় করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তাগিদ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল।

বাফিসা সভাপতি জেড এম গোলাম নবী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ দেবার জন্য ব্যাংকগুলোতে তাগিদ দেয়া হয়। অথচ সহজ শর্তে জামানত বিহীন ঋণ দেবার বিষয়ে এই সার্কুলারে নির্দেশনা নেই। ফলে বাড়ছে জটিলতা।

অর্থসংস্থানের জটিলতা দূর করার তাগিদ দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বলছেন, গুড়ো দুধের বাজারের অস্থিরতা দূর করতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply