মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের পরও জামিন পেলেন ভূমি কর্মকর্তা

|

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের সখীপুরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা চাচার হাত ভেঙে দেয়ার মামলায় জামিন পেয়েছেন ভাতিজা উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক (৫২) সহ তিনজন। দুপুরে তাদের টাঙ্গাইল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক রুপম কুমার দাস তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর মাহবুব হোসেন।

এর আগে বুধবার আবদুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী মোমেনা আক্তারসহ (৪৫) তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আবদুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পৌর ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শোলা প্রতিমা গ্রামের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গাজী আবদুল কাদের ও তার ভাই আবদুল বছির মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। বিরোধের জের ধরে গত সোমারার বিকেলে বছির তার ছেলেদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদেরের স্ত্রী রহিমা পারভীনকে মারধর করে। আহত রহিমাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় আবদুল কাদের বাদী হয়ে ওইদিন রাতে ভাই বছির ও ভাতিজা আবদুর রাজ্জাকসহ সাতজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভাতিজা আবদুর রাজ্জাক দলবল নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মামলার বাদী চাচা গাজী আবদুল কাদেরের উপর হামলা করে। এতে তার হাত ভেঙে যায়। এসময় বাড়ির আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়।

এসময় আহত হন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার নিউ লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই আহত আবদুল কাদেরের ছেলে কামরুল হাসান বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ আবদুর রাজ্জাক ও তার স্ত্রী মোমেনাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর বাড়িতে হামলা মামলায় তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply