প্রকাশ্যে আসল কিম না বডি ডাবল?

|

রাশিয়ার সাবেক একনায়ক জোসেফ স্ট্যালিন কিংবা ইরাকের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ‘বডি ডাবল’ ছিল বলে মনে করা হয়। এবার উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনেরও বডি ডাবল থাকার দাবি করা হচ্ছে। গত মাসের শুরুর দিকে তার হার্ট অ্যাটাক অথবা করোনায় মারা গেছেন এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। এসব গুজবের পেছনে নাকি স্বয়ং কিমেরই হাত রয়েছে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করতে কিম নিজের মৃত্যুর গুজব নিজেই ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে ধারণা অনেকের। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।

মৃত্যুর গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে প্রায় ২০ দিন পর গত শুক্রবারই জনসম্মুখে আসেন কিম। ওইদিন রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে একটি সার কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন তিনি। সরকারি টিভি চ্যানেলের পর্দায় ভেসে ওঠে সেই দৃশ্য। তবে তার হঠাৎ করে প্রকাশ্যে আসা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বলা হচ্ছে, আসল কিম জং উন নন, ছবি-ভিডিওতে তার ‘বডি ডাবল’কে দেখানো হয়েছে।

বিস্ফোরক দাবি করেছেন এক চীনা ব্লগার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে চীনা ব্লগার জেনিফার জেং দাবি করেছেন, ‘যে কিম জং উন সামনে এসেছেন তিনি আসল নন, তার বডি ডাবল’। মানে কিমের মতোই দেখতে একজনকে তার জায়গায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এমনকি নিজের এ দাবির পক্ষে ছবি পোস্ট করে প্রমাণও দিয়েছেন ওই ব্লগার।

কিমের পূর্বের ছবিগুলোর সঙ্গে সার কারখানা উদ্বোধনের ছবির বেশকিছু অমিল রয়েছে। যেগুলো এ সন্দেহকে আরও উসকে দিয়েছে। নতুন ছবিতে কিমকে বেশ স্থুল দেখাচ্ছে। এছাড়া তার কান ও মুখের আকৃতি, চুলের স্টাইল ও দাঁতের মাঝেও তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। যদিও ওই চীনা ব্লগারের মন্তব্য নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি পিয়ংইয়ং। মন্তব্য করেনি দক্ষিণ কোরিয়াও। কিমের অজ্ঞাতবাসের সময়ই ৫০ জনের চিকিৎসক প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল চীন। তবে সেই প্রসঙ্গে পরবর্তী সময়ে কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

অত্যধিক ধূমপান, স্থুলতাসহ বেশকিছু সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন কিম। তার ওপর ছিল মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ। এর জের ধরেই হৃ দযন্ত্রে অস্ত্রোপচার এবং তারপর থেকেই গুরুতর অসুস্থ। কিম মারা গেছেন বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে জল্পনা-আলোচনা চলে। কোনো কোনো প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর আশঙ্কাও করা হয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বারবারই বলছেন, কিম বেঁচে আছেন, ভালো আছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply