কক্সবাজারে ধর্ষণের পর সড়কে ফেলে হত্যা, সিএনজি চালক আটক

|

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

হত্যার আগে চম্পা(১৮) কে একাধিকবার ধর্ষণ করে ঘাতকরা। পরে সড়কে ফেলে তাকে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে বলে জানান র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।

হত্যার রহস্য উন্মোচনে অনুসন্ধানের শুরুতেরই র‌্যাব চম্পাকে বহনকারী একটি সিএনজি শনাক্ত করে। সেই সিএনজির চালককে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে চম্পা আরেকটি সিএনজিতে চকরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল। পরে সেই সিএনজির চালক জয়নাল আবেদীন (১৮) কে আটক করে র‌্যাব।

জয়নাল আবেদীন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পেকুয়া থেকে চকরিয়া যাওয়ার পথে নির্জন স্থানে চম্পাকে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে সিএনজি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যানবাহনের ধাক্কায় চম্পা মারা যায়।

এদিকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত অপর সহযোগী পেকুয়া উপজেলার শেখের কিল্লা এলাকার আব্দুল হোসাইনের ছেলে সাজ্জাদ হোসাইনের (৩০) নাম প্রকাশ করে সে। তবে সাজ্জাদ পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় সিএনজি জব্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার রাত ১০টার দিকে চকরিয়া-পেকুয়া-বাঁশখালী সড়কের কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা এলাকায় সড়কে এক তরুণীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং নিহত তরুণীর পিতা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করে। এসময় চম্পা চট্টগ্রামের ফুফুর বাসা থেকে কক্সবাজারে নিজ বাড়িতে ফিরছিল।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply