করোনার এই সময়ে সুস্থভাবে বাঁচার কৌশল

|

মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে। তবে পৃথিবীর মানুষ কবে এই ভাইরাস মুক্তি পাবে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা সুনির্দিষ্ট করে এখনো কিছুই বলতে পারছেন না।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনো কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। আর এখনো যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি তাই বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ধীরে ধীরে অদৃশ্য এই শত্রুর সঙ্গে বসবাসের কৌশল শিখে নিতে হবে। যেভাবে ডেঙ্গু ও এইডসের সঙ্গে মিলেমিশে আছেন, সেভাবে।

বাঁচার পথ কী?

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী বলেন, নিয়ম মানলে তো ভালো। মানুষকে ভালো করে বোঝানো প্রয়োজন। এই ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে কি করতে হবে তা বোঝাতে হবে।

তার পরামর্শ হচ্ছে, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। এ বিষয়ে ট্রেনিং দিতে হবে।

যেসব নিয়ম মানা জরুরি-

১. করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া।

২. গ্লাভস সাধারণ মানুষের পরার প্রয়োজন নেই। কারণ নিয়ম মেনে না পরলে উল্টো বিপদের আশঙ্কা বেশি। তার চেয়ে হাত ধুয়ে নেয়া অনেক নিরাপদ।

৩. বাইরে গেলে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার পরতে হবে। গেঞ্জির কাপড়ের মাস্ক সবচেয়ে ভালো। আর মাস্ক ব্যবহারের পর অবশ্যই তা জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৪. মাস্ক পরলেও মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ৬ ফুটের বেশি দূরত্ব রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। তা না পারলে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

৫. চোখে চশমা থাকলে আর কোনো সাবধানতার প্রয়োজন নেই। না থাকলে রোদচশমা পরতে পারেন। কারণ চোখ দিয়েও জীবাণু ঢুকতে পারে।

৬. মাথার চুল বড় হলে তা ভালো করে বেঁধে স্কার্ফ বা ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে নেবেন। কারণ বাসে বা চলার পথে খোলা চুল অন্যের নাকে-মুখে উড়ে লাগতে পারে। এ থেকেও সংক্রমণ ঘটতে পারে।

৭. এমন জুতো ব্যবহার করুন যেগুলো নিয়মিত ধোয়া যায়।

৮. গয়না পরে বাইরে বের হবেন না। কারণ ধাতুর উপর প্রায় পাঁচ দিন থেকে যেতে পারে জীবাণু। ঘড়ি পরারও প্রয়োজন নেই।

৯. অফিসে নিজের কাপে চা বা কফি খাবেন। তবে তার আগে সাবান পানি দিয়ে সেই কাপ ভালো করে ধুয়ে নিবেন।

১০. ঘরে তৈরি খাবার খাওয়া সবচেয়ে নিরাপদ। এছাড়া খোসা ছাড়িয়ে খেতে হয় এমন ফল খাবেন। প্যাকেটের বিস্কুট বা বাদাম খেতে পারেন।

১১. বাড়িতে কাজের লোক বা অন্য কেউ এলে ঘরে ঢোকার আগে হাত-পা ভাল করে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। গোসল করে জামাকাপড় বদলে নিতে পারলে আরও ভালো। ধোয়া মাস্ক পরতে হবে।

১২. চর্বিযুক্ত খাবার ও কোমল পানীয় না খাওয়া উচিত। হালকা খাবার খাওয়া ভালো।

১৩. পানি বা তরল প্রচুর পরিমাণে পান করার প্রয়োজন নেই। শরীর যতটুকু চায় ততটুকু পান করুন।

১৪. শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটমিন ডি। তাই গায়ে হালকা রোদ লাগানো খুবই প্রয়োজন। সকালে একটু মর্নিং ওয়াকে গেলে ব্যায়ামও হবে, গায়ে রোদও লাগানো হবে। এছাড়া রোদ চড়া হলে তা ঠেকাতে ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। এতে অন্যদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখাও সহজ হবে।

১৫. জিম বা বিউটি পার্লারে না যাওয়াই ভালো।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply