শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান, অপহৃত শিশু সিফাতকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে উদ্ধার

|

শ্বাসরুদ্ধকর এক অভিযানে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে অপহৃত হওয়া শিশু সিফাতকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার বাসার সামনে থেকে অপহৃত হয় রঙ মিস্ত্রী ফিরোজ হওলাদারের ছোট ছেলে সিফাত। তারপর থেকেই সমস্ত এলাকা তন্নতন্ন করেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না সিফাতের।

দুপুর সোয়া একটার দিকে অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে সিফাতের বাবার মোবাইলে কল করে জানানো হয়, ‘সিফাতকে অপহরণ করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে সে তার ছেলেকে ফিরে পেতে পারে। পুলিশকে জানালে বা কোনরকম চালাকি করলে ছেলের লাশের খোঁজও পাবে না’।

পুরো বিষয়টি মোবাইল ফোনে হাতিরঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশীদকে জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে সিফাতের বাবা। অন্যদিকে অপহরণকারীদের হুমকিতে ভয় পেয়ে সিফাতের বাবাকে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে বাধা দিচ্ছিলেন সিফাতের মা।

সিফাত অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে তা অপহরণকারীরা ঘুণাক্ষরেও টের পাবে না বুঝিয়ে আশ্বস্ত করা হয় অপহৃত সিফাতের বাবা-মাকে। তারপর দুই বছর আগে তোলা সিফাতের একটি সাদাকালো ছবি নিয়ে সিফাতকে উদ্ধারে নামে পুলিশ।

এদিকে পুলিশের নির্দেশনা মোতাবেক অপহরণকারীদের সাথে মুক্তিপণের ব্যাপারে যোগাযোগ করে যাচ্ছিলেন সিফাতের বাবা। তার সূত্র ধরেই বুধবার রাতে হাতিলঝিল পুলিশের একটি দল রওয়ানা হয় পাটুরিয়া ঘাটের দিকে। সেখানে পৌঁছেই পুলিশের দলটি দুভাগে ভাগ হয়ে খুঁজতে থাকে সিফাতকে। সম্বল সিফাতের দুই বছর বয়সী একটি সাদাকালো ছবি।

তারপর রাত ১১.৪০-এর দিকে একটি টং ঘরের দেয়াল ঘেঁষে ঘুমন্ত অবস্থায় সিফাতকে উদ্ধার করে পুলিশ।

উদ্ধারের পর সিফাত জানায়, সে বাসার বাহিরে খেলার সময় মিলন মামা চকোলেট কিনে দেয়ার জন্য তাকে দোকানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়।

সিফাতের বাবা জানায়, মিলন কয়েক মাস যাবত তার সহকারী হিসেবে কাজ করছিল। বাসায় প্রায়ই আসতো। যে কারণে তাকে মামা ডাকতো সিফাত।

পুলিশ জানায়, মিলনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply