বিখ্যাতদের অদ্ভুত সব অভ্যাস!

|

পৃথিবীতে রেখে গেছে অনন্য অবদান, এদের কেউ লেখক, গায়ক, কেউ আবিষ্কারক। কিন্তু তাদের ছিলো কিছু অদ্ভুত অভ্যাস, সেসব শুনে হয়তো অবাক হতেও পারেন। কিন্তু তাই চিরন্তন সত্য। জেনে নিই বিখ্যাত ব্যক্তিদের এরকম কিছু অদ্ভুত অভ্যাসের কথা।

ভিক্টর হুগো
তিনি লেখালেখি করতেন শরীরের সব জামা কাপড় খুলে। লেখা শেষ না হওয়া না পর্যন্ত পোশাক লুকিয়ে রাখতেন যাতে তিনি লেখা শেষ হওয়ার আগে কোথাও বেরিয়ে যেতে না পারেন। এমনকি তার বিখ্যাত বই ‘লা মিজারেবল’ লেখার সময় তিনি দীর্ঘদিন কাপড় পরেননি।

লুডভিগ ফান বেটোফেন
জার্মান সুরকার এবং পিয়ানো বাদক লুডভিগ ফান বেটোফেন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সুরকারদের একজন মনে করা হয় বেটোফেনকে। তিনি কোন গানের সুর দিতে গেলে সারাক্ষণ রুমের ভিতরে ঘোরাঘুরি করতেন। এমনকি কখনও কখনও পানিভর্তি পাত্রের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রেখে গানের সুর দিতেন।

অনরে দ্য বালজাক
বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক এবং নাট্যকার। তিনি ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রায় ১০০টি উপন্যাস রচনা করেছেন। এই বিশাল রচনাভাণ্ডারকে একত্রে La Comédie Humaine বলা হয়। তিনি দিনে ৫০ কাপের বেশি কফি খেতেন, তার ব্যাপারে বলা হয় তিনি তিন ঘন্টা বিরতি নিয়ে টানা ৪৮ ঘন্টা করে কাজ করতেন।

ফ্রিডরিখ নিৎশে
একজন বিখ্যাত জার্মান দার্শনিক, কবি ও ভাষাতত্ত্ববিদ ছিলেন। তিনি তার সব কাজ দাঁড়িয়ে করতেন। এমনকি কেউ দাঁড়িয়ে কাজ না করলে তিরষ্কার করতেন। আরও দুজন লেখক ভার্জিনিয়া উলফ ও লুইস ক্যারলও দাঁড়িয়ে লেখা লেখি করতেন। ভার্জিনিয়া উলফ মনে করতেন লেখালেখি শব্দ দিয়ে ছবি আঁকার মতো তাই দাঁড়িয়ে লিখতেন। এমনকি আর্নেস্ট হেমিংওয়ে বুক বরাবর উঁচু একটি টাইপরাইটারে সবসময় দাঁড়িয়ে লিখতেন।

চার্লস ডিকেন্স
ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক। তিনি তার টেবিলের আশে পাশে চুল খুব অপছন্দ করতেন। এমনকি প্রতিদিন তিনি কাজ শুরু করার আগে মাথার চুল সুন্দর করে চিরুনি করে নিতেন। তিনি লেখার জন্য একজন সহকারী রাখতেন তিনি বলতেন আর সহকারী লিখতেন। মাঝে মাঝে যখন লিখতে পারতেন না তখন ১০ মাইল করে হাঁটতেন তারপর হারিয়ে যেতেন। এরপর লেখার মুড আসলে বাড়ি চলে এসে লিখতে বসে যেতেন।

জেন অস্টেন
তিনি খুবই অপছন্দ করতেন কেউ তার লেখা শেষ হওয়ার আগে ঊকি দেয়া বা রুমে প্রবেশ করাকে। তাই তিনি লেখার সময় সচেতনভাবে রুমের দরজা বন্ধ করে রাখতেন যাতে কেউ প্রবেশ না করতে পারে। অনেক সময় তিনি লেখার জন্য নানা শব্দ কাগজে লিখতেন। যা মনে আসতো তাই লিখতো। এরপর সেইসব শব্দ থেকেই তিনি গল্প উপন্যাস লিখে ফেলতেন।

আগাথা ক্রিস্টি
তিনি কোন সময় চেয়ার টেবিলে লিখতেন না, যখনই লেখার ইচ্ছে হতো শুধু তখনই লিখতেন। সেটা হোটেলে হোক আর রান্নাঘরে হোক। টাইপ রাইটারে লিখতেন তিনি। আবার কখনও কখনও তার দুপাশে বইয়ের দেয়াল বানিয়ে মাঝখানে বসে লিখতেন। অন্যদিকে লেখক মার্ক টোয়েন সবসময় বিছানায় শুয়ে লিখতেন। এ ছাড়া তিনি লিখতে পারতেন না।

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি
ইতালীয় রেনেসাঁসের কালজয়ী চিত্রশিল্পী, তিনি দিনে ছোট ছোট সময় করে কয়েকবার ঘুমুতেন। আর এভাবেই তিনি সকল আবিষ্কারগুলো করেছিলেন। অন্যদিকে ভিঞ্চির উল্টো ছিলো বিদ্যুৎ সরবরাহ পদ্ধতির জনক নিকোলা টেসলা। তিনি দিনে ২ ঘন্টার বেশি ঘুমুতেন না।

বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন
যুক্তরাষ্ট্রের জাতির জনক বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন প্রতিদিনের কাজ শুরু করার আগে ঘণ্টা খানেক খোলা জানালার সামনে বসে ‘বাতাসের স্নান’ করতেন।
পিথাগোরাস: এই গ্রিক গনিতবিদ কখনই মাংস খেতেন না। সারা জীবন ছিলেন নিরামিষভোজী। তবে তিনি মটরশুঁটি পছন্দ করতেন না।

কিশোর কুমার
কণ্ঠের জাদুকর কিশোর কুমারের একটি অভ্যাস ছিলো গাছের সাথে কথা বলা। গাছ ছাড়া আর কাউকেই নিজের বন্ধু বলে ভাবতেন না। তাই সময় পেলেই ছুটে যেতেন গাছের সাথে গল্প করতে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply