যুক্তরাষ্ট্রে নজিরবিহীন নৈরাজ্য ও লুটতরাজ

|

যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ ছাপিয়ে আলোচনায় নজিরবিহীন নৈরাজ্য ও লুটতরাজ। মিনেপোলিস, সিয়াটল, লস অ্যাঞ্জেলেস, ম্যানহাটনসহ বিভিন্ন শহরে ছোট-বড় দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে হামলা-ভাঙচুর। ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতিতে দোকান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন হাজারো ব্যবসায়ী। বিক্ষোভে সমর্থন থাকলেও, অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, প্রকাশ্য দিবালোকে লুটপাটের যৌক্তিকতা নিয়ে।

মাত্র এক সপ্তাহের বিক্ষোভ। তাতেই যেন ভেঙে পড়ার মুখে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা। নৈরাজ্যের ভয়াবহতায় অসহায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

বর্ণবাদবিরোধী গণবিক্ষোভের আড়ালে মার্কেট-সুপারশপগুলোতে তাণ্ডব চালাচ্ছে একদল সুযোগসন্ধানী। লুটপাট থেকে বাদ পড়েনি এটিএম বুথ, হীরা-স্বর্ণালঙ্কারের বড় বড় দোকান, এমনকি ল্যুই ভিটন-গুচি-সনির মতো ব্র্যান্ডশপও।

অসাধু দুষ্কৃতিকারীদের কারণে সম-অধিকারের ন্যায্য আন্দোলনও ভেস্তে যায় কিনা- তা নিয়েই এখন শঙ্কিত দীর্ঘকাল নিপীড়নের শিকার কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিনীরা।

অবশ্য দীর্ঘদিনের বঞ্চনায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকারের দাবি প্রশাসনের নজরে আনার এছাড়া উপায় ছিল না। লুটপাট সমর্থন করে বলছেন অনেক।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ আর দীর্ঘ লকডাউনের আর্থিক ক্ষতি কাটাতে, কেবলই দোকানপাট খুলতে শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যেই গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো সহিংস বিক্ষোভ আর লুটপাটের নতুন বিপর্যয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply