নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেফতার

|

পটুয়াখালী প্র‌তি‌নি‌ধিঃ

পটুয়াখালীর বাউফলে চাকরি হারানোর ভয় দেখিয়ে এক স্টাফ নার্সকে (৩২) যৌন হয়রানির অভিযোগে মোঃ শাহ আলম (৬৫) নামের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার ক‌রে‌ছে বাউফল থানা পু‌লিশ। গ্রেফতারকৃত শাহ আলম বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিকের অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক। তিনি একসময় বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে চাকরি করতেন।

জানা গেছে, ডাঃ শাহ আলম বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিকে কর্মরত অবস্থায় চাকরি হারা‌নোর ভয় দে‌খি‌য়ে এক স্টাফ নার্সকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি ওই স্টাফ নার্সকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কাজ করতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওই স্টাফ নার্স সোমবার রাতে ডা. শাহ আলম ও বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিকের পরিচালকসহ তিনজনকে আসামি করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই রাতেই বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তিনি বাসার দরজা না খোলায় তাকে সেদিন গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এরপর সারারাত পুলিশ তার বাসা ঘেরাও করে পরের দিন মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে।

বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পটুয়াখালী আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা যায়, ডা. শাহ আলম এ পর্যন্ত যত উপজেলায় চাকরি করেছেন সেখানেই নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় অভিযোগ থাকায় অবসরের পরেও এখন পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারেননি।

বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি সূত্র জানায়, ডা. শাহ আলমের অ্যানেস্থেশিয়া সনদটি জাল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৬ মাসের কোর্স শেষ করে এ সনদ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তার সনদটি পাঁচ মাস কোর্সের। এ ধরনের সনদ দেশের কোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেয়া হয় না। তিনি এই জাল সনদ দিয়ে বাউফলে দুইটি ক্লিনিকে প্রায় শতাধিক প্রসূতি মাকে অ্যানেস্থেশিয়া দিয়েছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply