ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও নবীনগরকে জোন ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা

|

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌরসভাকে জোন ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সাথে পরামর্শক্রমে উপজেলার সর্বোচ্চ ফোরামে সভা করে লকডাউন ঘোষণা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম। কসবা পৌরসভার ৪, ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডকে লকডাউনের আওতায় এনে সদরের তিনটি প্রবেশ পথ কসবা টি.আলী বাড়ি মোড়, সাহাপাড়া ও কসবা-আখাউড়া রোড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন ঘোষণার পর উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থান নেয় কসবা পৌর এলাকায়।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর পৌরসভা এলাকা ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে লকডাউন করেছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত পৌর এলাকায় জরুরি সেবা ছাড়া যান ও নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে। বৃস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়ার পর রাতে এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে লকডাউনের ঘোষণা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত নবীনগর উপজেলায়। প্রতিদিন নবীনগরে করোনার রোগীর সংখ্যা আশংকাজনভাবে বাড়তে থাকায় ইউএনওর কার্যালয়ে উপজেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির জরুরী সভা ডাকা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটি সভাপতি উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম। গত কয়েক দিনে পৌর এলাকার ৫৫ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, মারা গেছে ২ জন। সে কারণে পৌরসভার এলাকার কলেজপাড়া, টিএনটিপাড়া, উপজেলা পরিষদ এলাকা, হাসপাতালপাড়া, ভোলাচং দাসপাড়া ও এর আওতাধীন ঋষিপাড়াকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে নবীনগর পৌরএলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলতে হবে এবং চলাচল করতে হবে। মাস্ক না পরলে এবং অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেও জরিমানা করার নির্দেশ রয়েছে ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে। এদিকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় করোনা আক্রান্ত ৩৩৩ জন, সুস্থ ৭৬ জন, ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply