কিডনিজনিত সমস্যায় মৃত্যু, তবুও কাছে আসেনি কেউ

|

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনা শহরের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (৭০) কিডনিজনিত সমস্যায় ১০ জুন রাত সোয়া নয়টার দিকে মারা যান। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না এবং করোনার কোন উপসর্গও ছিল না। কিন্তু মারা যাবার পর লাশের কাছে কেউ আসেননি। এমনকি লাশ গোসল, জানাজা ও দাফনেও অংশ নেননি পরিবারের কোন সদস্য ও স্বজনরা। তবে দূর থেকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন পরিবারের দুইজন সদস্য।

নুরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি সুজানগর উপজেলার হাটখালি ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে।

পরে যমুনা টিভির পাবনা প্রতিনিধি সনম রহমানের তত্বাবধানে সেখানে ছুটে যান তহুরা আজিজ ফাউন্ডেশনের পরিচালক দেওয়ান মাহবুব ও কালেরকণ্ঠ শুভ সংঘের পাবনা জেলা সভাপতি ও সমাজকর্মী শিশির ইসলাম। তারা সেখানে গিয়ে লাশ গোসল করান। পরে, পরিবারের দুইজন সদস্যের দিকনির্দেশনায় লাশ নিয়ে ঐ রাতে চলে যান মরহুমের গ্রামের বাড়িতে। সেখানে সৈয়দপুর জামে মসজিদের সামনে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে কিডনীর সমস্যায় ভূগে আট জুন রাতে মারা যান সুজানগর মসজিদপাড়া মহল্লার নাসির উদ্দিন মিয়ার ছেলে ইদ্রিস আলী। কিন্তু করোনায় মারা গেছেন ভেবে সুজানগরের কেউ তার গোসলসহ দাফন কাজে এগিয়ে আসেননি। পরদিন সকালে দেওয়ান মাহবুব ও শিশির ইসলাম সুজানগরে গিয়ে মৃত ওই ব্যক্তির দাফন কাজ সম্পন্ন করেন।

তাদের এমন মহতী কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই। তারা বলছেন, কেউ অসুস্থ হলে বা মারা গেলে কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতে হবে। তবে পরিবারের সদস্য, স্বজন ও সমাজের এমন অমানবিক আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply