ডাক্তার হলেও করোনা উপসর্গ থাকায় কাছে আসেনি চিকিৎসক, শেষে মৃত্যু

|

নিজে চিকিৎসক হয়েও করোনা উপসর্গ থাকায় পায়নি চিকিৎসাসেবা। সরকারি হাসপাতালে ৪ ঘণ্টা ধরে পরে ছিলেন কোন ধরনের চিকিৎসা ছাড়াই এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে নেয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে। আবার সরকারি হাসপাতালে আইসিউতে ভর্তি করাতে নিয়ে আসা হয় কিন্তু ভর্তির আগেই মারা যান চিকিৎসক। এ ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে।

জানা যায়, ডা. আরিফ হাসান। নিজেই চিকিৎসক। কিন্তু করোনার উপসর্গ থাকায় তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসেনি কোন চিকিৎসক। এমনটাই অভিযোগ করেছে পরিবারের সদস্যরা। ডা. আরিফ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪৯তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার আবেদিন কলোনির বাসিন্দা। সাবেক ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু তার খালাতো ভাই।

স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, গত ২ জুন থেকে আরিফ হাসান জ্বরে ভুগছিলেন। শুক্রবার সকালে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রথমে ৪ ঘণ্টা ধরে কোনো চিকিৎসক তাকে দেখেননি। করোনা সন্দেহে নার্স ওয়ার্ড বয়রাও কাছে আসেনি। ৪ ঘণ্টা পর বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সারাদিন সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাতে চমেক হাসপাতালে আইসিইউর ব্যবস্থা হয়েছে খবর পেয়ে সেখানে নেয়া হলেও ভর্তির আগেই মারা যান ডা. আরিফ।

আরিফের ছোট বোন শায়লা হাসানের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মুনির উদ্দিন হাসান বলেন,
চিকিৎসক হয়েও চিকিৎসার অবহেলায় এমন মৃত্যু মেনে নেয়ার মতো নয়। চমেক হাসপাতালে প্রথমে নেয়ার পর ৪ ঘণ্টায়ও কোনো চিকিৎসক আসেনি। ওই মুহূর্তে সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউ সাপোর্ট চেয়েও পাওয়া যায়নি। তখন পাওয়া গেলে আরিফকে বাঁচানো যেতো।

যদিও চিকিৎসকের অবহেলা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেছেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আফতাবুল ইসলাম বলেন, ডা. আরিফ হাসানের করোনার উপসর্গ ছিল। তিনি নমুনা দিলেও রিপোর্ট পাননি। চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগও সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।

টিবিজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply