এ মাসের শেষে বা আগামী মাসে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ: ডা. জাফরুল্লাহ

|

করোনার পিক টাইম আসবে এ মাসের শেষে বা আগামী মাসে এমন তথ্য জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, করোনার সংকটে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সরকার অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজছে। করোনা চিকিৎসায় সরকারের পদক্ষেপ যথাযথ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি জানান, তার করোনা চিকিৎসায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ৮২ হাজার লিটার অক্সিজেন গ্রহণ
করেন তিনি। তার ফুসফুসে ৮০ ভাগ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলো।

তিনি বলেন, শক্ত করে স্বাস্থ্য আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় ওষুধ নীতি বদলালে ওষুধের দাম কমে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানুষ ফতুর হয়ে যায়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রায় একমাস ধরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনা সেরে গেলেও  অসুস্থতা পুরোপুরি যায়নি। এ  সময়ে যারা পাশে ছিলেন এবং দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া খোঁজ নিয়েছেন জানিয়ে তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মানুষ যে একজন মানুষকে এতো ভালবাসতে পারে। সেটা যুদ্ধের পরে এই দেখলাম। একাত্তরে যুদ্ধে পেয়েছিলাম ভালোবাসা। এখন এবার সেই ভালোবাসা পেলাম।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী জাফরুল্লাহ চৌধুরী সম্পর্কে বলেন, ওনার বুকের প্রায় ৮০ শতাংশ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। সেটার কারণেই নানান সমস্যা হয়েছে। এই চিকিৎসক জানান, জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে চিকিৎসা দেওয়া সহজ ছিল না। যেকোনো চিকিৎসা দেওয়ার আগে ওনাকে
সেটা সম্পর্কে ভালো করে বুঝাতে হতো। কারণ জানাতে হতো। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন যে গ্রামের একজন মানুষ বা শ্রমিক যে ওষুধ কিনতে পারবে না তা তিনি নেবেন না।  সিটি স্ক্যানও করা যায়নি। রেমডিসিভিরের দাম বেশি বলে সেটাও নেননি। তবে তার মানসিক শক্তি অনেক ছিল। ঢাকা মেডিকেলে  চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও তিনি যাননি। তিনি বলেছেন, তিনি মরলে এখানেই মারা যাবেন।

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply