স্কুল খুলছে থাইল্যান্ড, নতুন জীবনযাত্রার সাথে অভ্যস্ত করাতে প্রশিক্ষণ

|

উচ্ছ্বল প্রাণগুলোর হাসিমুখ ঢাকা পড়েছে মাস্কের আড়ালে। তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র আর হ্যান্ড স্যানিটাইজ পদ্ধতির কড়াকড়িতে চোখেও যেনো অজানা আতঙ্ক। এরমধ্যেই মাত্র এক সপ্তাহ পরই খুলে দেয়া হবে থাইল্যান্ডের কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো। দেশটিতে গেলো একমাসে স্থানীয় সংক্রমণ না ঘটায় পয়লা জুলাই থেকে শিশুদের স্কুল খোলার সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভাইরাস প্রতিরোধ এবং নতুন জীবনযাত্রার সাথে অভ্যস্ত করাতে কোমলমতি শিশুদের রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আগামী কয়েক বছর করোনার প্রভাব যাবে না। তাই সতর্কতাকে একমাত্র অবলম্বন ধরে নিয়েই আগামী মাস থেকে থাইল্যান্ডে শুরু হচ্ছে কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম।

উইচুতিত স্কুলের পরিচালক পোরনিচা চাতাপুন বিষয়টি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাসিত। বলেন, বাচ্চাদের জন্য বিষয়গুলো নতুন; একারণে তারা যেমন উত্তেজিত আমরাও উত্তেজিত। শিশুদের অভ্যস্থ করার জন্য অভিভাবকরাও বাড়িতে করোনা শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন। অদ্ভুত শোনালেও নতুন প্রজন্মের কাছে এটাই স্বাভাবিক জীবন।

নিরাপদ দূরত্ব রক্ষায় পরিবর্তন এসেছে শ্রেণীকক্ষের আসন ব্যবস্থাপনায়। প্রাণপ্রিয় বন্ধুটির সাথেও মানতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। শেখানো হচ্ছে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার পদ্ধতি। টিফিন পিরিয়ড বা প্লে গ্রাউন্ডে কি কি মানতে হবে- সে বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন শিক্ষকরা।

স্কুলের পক্ষ থেকে অভিভাবকদেরও দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ। সন্তানকে ঘিরে উদ্বেগ কমাতেই এ উদ্যোগ।

রাজধানীর ব্যাংককের বাসিন্দা পারিয়াপোর্ন দিসুয়ের। স্কুল খুলবে- বিষয়টি শুনার পর শুরুর দিকে একটু চিন্তিত ছিলেন এই অভিভাবক। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ভাইরাস প্রতিরোধে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সবধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে তার মধ্যে। তিনি বলেন, পরিবার থেকেও বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর থাকার উপায় শেখানো হয়েছে। বাড়ির বাইরে সবসময় মাস্ক পড়া বা সাবান-স্যানিটাইজার দিয়ে হাত বারবার পরিষ্কারের কথাও জানে তারা। ফলে খুব একটা আতঙ্ক আর কাজ করছে না।

কোভিড নাইনটিনের বিস্তাররোধে মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে থাইল্যান্ড। দেশটিতে গেলো একমাসে স্থানীয় পর্যায়ে কোন সংক্রমণ ঘটেনি। নতুনভাবে শনাক্ত রোগীরা সবাই বিদেশফেরত। পর্যটনের জন্য বিখ্যাত দেশটিতে মোট সংক্রমিত ৩ হাজারের বেশি; সুস্থতার হার প্রায় শতভাগ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply