মন্ত্রী বলছেন-দুর্নীতি হয়নি, প্রধানমন্ত্রী তদন্তের কথা বলেছেন; সংবাদ সম্মেলন করবে ঢামেক

|

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়া বাবদ ২০ কোটি টাকা খরচের হিসেব নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অন্যদিকে, এই অস্বাভাবিক খরচে হতবাক হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে আইন মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পিছনে ব্যয় হওয়া এই খরচের হিসেবে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার বিষয় নিয়ে যে কথা হয়েছে আমি খোঁজ নিয়েছি। কাল রাতে আমি এটা দেখেছি। ৫০টি হোটেল ভাড়া হয়েছে। সেখানে তিন হাজার ৭শ’ মানুষ এক মাস থেকেছেন। প্রত্যেকটি রুমের ভাড়া ১১০০ টাকা। খাওয়ার খরচ যেটা বলা হয়েছে তা টোটালি রং। সেখানে দিনের তিনটি মিলের জন্য ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে।’

কিন্তু এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক মাসে ২০ কোটি টাকা খাবারের বিল, এটি অস্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। এটি আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। এত অস্বাভাবিক কেন হবে? যদি কোনও অনিয়ম হয়, অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেবো। সেইসাথে প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাপারে তদন্ত করার নির্দেশও দেন।

অন্যদিকে, এই খরচের হিসেব নিয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানিয়েছেন হাসপাতালের সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটের চিকিৎসক ও নার্সদের খাবারের বিল ২০ কোটি টাকা এসেছে বলে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন চিকিৎসকরা। এরপর থেকেই বিষয়টি আলোচনায় আসে। সংসদে এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীদলের উপনেতা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply