দেশেই তৈরি হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন!

|

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছে গ্লোব বায়োটেক নামে একটি প্রতিষ্ঠান। বুধবার (১ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, তারা পশুর শরীরে ভ্যাকসিনের সফলতা পেয়েছেন। মানবদেহেও সফলতা পাওয়া সম্ভব বলে তারা আশা করছেন।

গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি এন্ড রেগুলেটরি বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন যমুনা নিউজকে জানান, এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজ অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী উদঘাটন হওয়া পাঁচ হাজারের অধিক জিনোম সিকোয়েন্স ও বাংলাদেশে উদঘাটন হওয়া সিকোয়েন্সের বায়োইনফরম্যাটিক্স টুলের মাধ্যমে পরীক্ষায় আমরা ভ্যাকসিনের টার্গেট নিধারণ করি। এটি আমাদের এখানে কার্যকরী হবে বলে আমরা আশাবাদী।

তিনি বলেন, মার্চে যখন বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় তখন থেকে আমরা এটি নিয়ে কাজ শুরু করি। আমাদের দেশে শনাক্ত হওয়া রোগীদের থেকে নমুনা নিয়ে আমরা ভাইরাসের সিকোয়েন্সিং করেছি। সেখান থেকে তথ্য নিয়ে আমরা ভ্যাকসিনটি ডিজাইন করি। আমরা প্রাণিদেহে এটি প্রয়োগ করে ভালো ফলাফল পেয়েছি। আমরা বিষয়টি নিয়ে এখন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যাব, আমাদের ডাটা দিয়ে আবেদন করবো। সেখান থেকে অনুমতি পেলে আমরা বিএমআরসির কাছে ‘এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স’ চাইবো। সেটি পেলে মানবদেহে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করবো আমরা।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনটি ল্যাবরেটরির এনিমেল মডেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে যথাযথ অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখেছেন বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের সিইও কানাডাপ্রবাসী ড. কাকন নাগ এবং সিওও ড. নাজনীন সুলতানার তত্ত্বাবধানে আমরা সকলে একটি টিমওয়ার্কের মাধ্যমে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের গবেষণাটি পরিচালিত করেছি।

উল্লেখ্য, গ্লোব বায়োটেক ২০১৫ সালে ক্যানসার, আর্থ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ, অটোইমিউন ডিজিজসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগ নিরাময়ের জন্য বায়োলজিক্স, নোভেল ড্রাগ এবং বায়োসিমিলার উৎপাদনের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply