‘চীনে মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জোর করে বন্ধ্যা করা হচ্ছে উইঘুর নারীদের’

|

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম নারীদের এবার জোর করে বন্ধ্যা করার বা জন্মনিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে চীন সরকার। খবর বিবিসি বাংলার।

বিবিসি জানায়, চীনা গবেষক আদ্রিয়ান জেনজের লেখা একটি রিপোর্টে এই তথ্য উঠে আসে। রিপোর্টে বলা হয়, জিনজিয়াংয়ে অবস্থানরত উইঘুর মুসলিমদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন।

রিপোর্টে বলা হয়, বেশি সংখ্যক সন্তান জন্ম দেয়ার অভিযোগে নিয়মিতই উইঘুর নারীদের ক্যাম্পে বন্দী করে রাখার হুমকি দেয়া হচ্ছে। সেইসাথে, যে নারীরা এখনো সরকার নির্ধারিত সন্তান জন্ম দিতে বৈধ তাদের জরায়ুতে জোর করেই ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদী জন্মনিয়ন্ত্রণ ডিভাইস স্থাপন করে দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। অনেকে নারীকে বন্ধ্যা করার জন্য জোর করে সার্জারীও করানো হচ্ছে।

জিনজিয়াংয়ের বন্দী শিবিরে থাকা সাবেক নারীরা জানায়, সেখানে থাকা নারীদের গর্ভ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে তাদের মাসিক বন্ধ করতে বিভিন্ন রকম ওষুধ প্রয়োগ করা হতো তাদের ওপর।

জেনজ বলেন, “জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে এই ধরণের পতন অভূতপূর্ব, এখানে নির্মম একটা বিষয় রয়েছে। এটি উইগুরদের বশে আনার জন্য বিস্তৃত একটি পরিকল্পনার অংশ।”

তবে সোমবার প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টেকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবে আখ্যা দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান।

এরআগে, ২০১৯ সালে বিবিসি’র করা এক তদন্তে উঠে আসে যে জিনজিয়াংয়ের মুসলিম শিশুদের তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে যেন তারা মুসলিম সম্প্রদায়ের থেকে আলাদা হয়ে বড় হয়


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply