পটুয়াখালিতে ‘নো মাস্ক নো সা‌র্ভিস’ ক্যাম্পেইন শুরু

|

পটুয়াখালী প্র‌তি‌নি‌ধি:

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবেলায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী বাইরে বের হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীতে ‘মাস্ক নাই, সেবাও নাই’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরাম ও ফোকাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

দুপুরে পটুয়াখালী জেলা শহরের কোর্ট এলাকা থেকে ক্যাম্পেইন শুরু করে প্রতিষ্ঠান দু’টির সদস্যরা। বড় আকারে স্টিকার লাগানো ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের মাধ্যম জনসাধারণকে ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করতে উৎসাহিত এবং এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তারা।

এসময় সরকারি ও বেসরকারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও দোকান এবং হাটবাজারে খোলা দোকানে স্টিকার লাগানো হয় এবং সংশ্লিষ্টদের সচেতন করা হয়। সরকারি অফিস, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসি, লঞ্চ টার্মিনাল ও লঞ্চ, বাস স্ট্যান্ড, বাস ও এ্যাম্বুলেন্স, ব্যাংক, মুদি দোকান ও টেলিকম সেবাসমূহে স্টিকার লাগানো হয়।

সেবাদাতা ও সেবা গ্রহীতাদের মাস্ক পরিধান ছাড়া সেবা প্রদান ও সেবা গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়। এসময় অনেক ব্যবসায়ী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সাড়া প্রদান করছেন।

পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরামের নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাসিবুর রহমান বলেন, আমরা উপলব্ধি করেছি সরকার করোনা মোকাবেলা প্রতিনিয়ত কঠোর নির্দেশনা জারি করছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষ তেমন অনুসরণ করছে না। বাংলাদেশের মানুষ নানা প্রয়োজনে বাইরে বের হলেও মাস্ক পরছে না, কিন্তু মাস্ক হলো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম দিকের কার্যকর পদ্ধতি। তাই আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

ফোকাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মেহেদী হাসান শিবলী বলেন, তরুণদের মাধ্যমে বড় বড় পরিবর্তন সম্ভব। আমরাও এই সংকটকালীন সময়ে মানুষ সচেতন করতে এগিয়ে এসেছি। পটুয়াখালী জেলায় বর্তমানে সংক্রমণ দিনদিন রকেট গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নেই।

পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে জেলার সকল উপজেলার এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবো। যাতে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী জনসাধারণ মাস্ক পরিধান করে এবং চলাফেরা করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply