জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম: প্রধানমন্ত্রী

|

জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে কারাবাস থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২০ এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে এক কোটি গাছের চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটা একটা বিশেষ দিন। কারণ ২০০৭ সালে তদানীন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে গ্রেফতার করেছিল। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, আমাদের দেশের জনগণের প্রতি, প্রবাসীদের প্রতি এবং বিশ্ব নেতাদের প্রতি।

তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই নিজস্ব বাসভবন ধানমন্ডির সুধা সদন থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করায় দিনটিকে সেই থেকে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি মামলায় আমি বলেছি যে তদন্ত করে দেখতে হবে আমার দুর্নীতি আছে কিনা। ঠিক সেভাবে করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমি সব কিছু থেকে খালাস পেয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের সংগঠন, বিশেষ করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ আমাদের সব সংগঠন, সহযোগী সংগঠনের প্রতি। তারা প্রতিবাদ করেছিলেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ২৫ লাখ সিগনেচার সংগ্রহ করে সেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দিয়েছিলেন। তাদের এই সংগ্রহে আমি জোর পেয়েছিলাম মনে এবং আন্তর্জাতিক চাপে আমাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। যদিও আমার বিরুদ্ধে বিএনপির আমলে ১২টা মামলা দেওয়া হয় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আরও পাঁচটা মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস দেশের অগ্রযাত্রা সাময়িকভাবে থামিয়ে দিলেও তা সামলে দ্রুত সামনে এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি জনগণ এর থেকে বেরোতে পারবে। আবার আমরা এগিয়ে যাবো। এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশের না, বিশ্বব্যাপী সমস্যা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে আমি প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলা শিখেছি। তার পাথেয় ‘সৎ পথে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করো’ ধরে কাজ করে যাচ্ছি। আসুন সবাই মিলে এ বিরূপ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কাজ করি, জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply