করোনা ঠেকাচ্ছে ‘সিঁদল শুঁটকি’?

|

করোনা আতঙ্কে পুরো ভারত কাঁপলেও এর আক্রমণ থেকে বহাল তবিয়তে আছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) তথ্য অনুযায়ী মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড বা আসামে করোনা সংক্রমণ সব চেয়ে কম। মৃত্যু আরো কম। সূত্র: সংবাদপ্রতিদিন।

ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো খবরে বলা হয়, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আদিবাসীদের অন্যতম প্রিয় খাবার ‘সিঁদল শুঁটকি’। স্থানীয়দের মতে, এটি ম্যালেরিয়া ঠেকানোর অন্যতম ওষুধ।

আসামের কার্বি-আংলঙ ম্যালেরিয়া অধ্যুষিত এলাকা। এখানকার অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার সিঁদল। বাড়ি থেকে হোটেল সর্বত্র পাওয়া যায়। এমনকি মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরামেও প্রিয় খাবার সিঁদল। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যের অধিকাংশ বাসিন্দার বিশ্বাস, সিঁদল যেমন ম্যালেরিয়ার যম, তেমনভাবে গত কয়েকমাস ধরে কভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণও ঠেকাচ্ছে সিঁদল।

ভারতের আইসিএমআরের তথ্য বলছে, নাগাল্যান্ড-মিজোরামে এখনও পর্যন্ত যথাক্রমে ২৩৮ এবং ৮৯৬ জন কভিড আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু একজনেরও করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়নি। চারমাসে মেঘালয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬৬ জন। মারা গেছেন মাত্র দু’জন। আবার অরুণাচল প্রদেশে মোট আক্রান্ত ৪৬২ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫৩ জন। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

দেশটির গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. কৈলাস ভট্টাচার্য বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আদিবাসী ও জনজাতিদের মধ্যে পুঁটিমাছ মাটির তলায় রেখে শুকিয়ে পরে রান্না করে খাওয়া অভ্যাস। তাদের বিশ্বাস এই খাদ্য জীবাণুনাশক। সুপারিও এই পদ্ধতিতে খাওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, শুকিয়ে মাটির তলায় রাখার ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। তবে তা কতটা বিজ্ঞানসম্মত তা এখনও যাচাই করা হয়নি।

আরো একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাহাড় অধ্যুষিত হওয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষদের ‘লাং ক্যাপাসিটি’ বা ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বেশি। কেভিড-মৃত্যু হার কম হওয়ার পিছনে এটাও একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply