সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে সিলেটে প্রতীকী অচলায়তন কর্মসূচি

|

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট:

করোনাকালীন সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বেড়ে গেছে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ। সীমান্তবর্তী দরিদ্র লোকজন বিভিন্ন পণ্য আনতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করছে ভারতে। এতে বেড়েছে সীমান্ত হত্যা।

সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ রোধ, সীমান্ত আইন সম্বন্ধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে শনিবার (২৫ জুলাই) ব্যতিক্রমী এক কর্মসূচির পালন করে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার বিছানাকান্দি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এক প্রতীকী অচলায়তন তৈরি কর হয়।

প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা বাংলাদেশের পতাকা আঁকা টি-শার্ট পরে সীমান্তের জিরো লাইন বরাবর দাঁড়িয়ে প্রতীকীভাবে বন্ধ করে দেন সীমান্ত।

করোনাকালে দরিদ্রতা বৃদ্ধি পাওয়া ও কর্মসংস্থান কমে যাওয়ায় অনুপ্রবেশ বেড়েছে বলে ধারণা প্রশাসনের। গত বুধবার সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনগণের মধ্যে বিশেষ মানবিক সহায়তাসামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ জুলাই) উপজেলার ১ নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের বিছানাকান্দি জিরো পয়েন্টে এই জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত ১৫০ জন জনসাধারণের মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুস সাকিব, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সুলতান আলী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইকবাল মিয়াসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ মে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী জনসাধারণ গরু চরানো ও সুপারি, চোরাচালান, আনারস, কাঁঠাল পাচারের কারণে সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের একাধিক ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি এর মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং বিগত ৩ মাসে এ ধরনের সীমান্ত অপরাধের কারণে ভারতীয় খাসিয়া নাগরিক ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ৪ বাংলাদেশি নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন। এমন ঘটনায় জনসচেতনতায় সরকারের নির্দেশনায় ইতোপূর্বে বেশকটি জনসচেতনতামূলক সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইউএইস/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply