ঈদের দিন কেমন ছিলো হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি?

|

ফাইল ছবি

রোজার ঈদের মতো কোরবানির ঈদেও বিশেষ কোনো তারতম্য নেই কোভিড-১৯ হাসপাতালগুলোয়। আসছে রোগী, চলছে চিকিৎসা। উপসর্গ দেখা দিলেই চলছে টেস্ট। এরমধ্যেই আসছে মৃত্যুর খবর। ঈদের দিন কেমন ছিলো হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি?

সাতক্ষীরার শামীম গত মাসের ২৪ তারিখ মুমুর্ষ অবস্থায় করোনা আক্রান্ত ছোটভাইকে ভর্তি করান ঢাকা মেডিকেলে। পর জানতে পারেন বাবাও আক্রান্ত। তাকেও ভর্তি করান হাসপাতালে। পরদিনই মারা যান তার বাবা মহিউদ্দিন।

শামীমের ছোট ভাই শাহীন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ছেড়ে চলে গেছেন স্ত্রী। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোভিড হাসপাতালে পড়ে থাকা শামীমের জীবনে তাই ঈদ আনন্দ বলে কিছু নেই।

কেমন কাটছে ঈদ এ প্রশ্নে চুপ করে রইলেন তিনি। বললেন, ‘এই কষ্ট বলে বোঝানো যাবে না।’

শামীমের মতো অসংখ্য মানুষ আছেন ঢাকা মেডিকেলের করোনা ভবনে। যাদের দিন কাটছে দুশ্চিন্তায় রাত কাটছে নির্ঘুম। ঈদের দিন আলাদা না করতে পারলেও সেরকম আয়োজন দেখা গেছে কারও কারও মধ্যে। বাসা থেকে রান্নাবান্না করে স্বজনদের জন্য খাবার আনছেন সবাই।

তবে এরমধ্যেই আসছে মৃত্যুর খবর। হাসপাতাল চত্বরজুড়ে স্বজনদের কান্না।

এদিকে চলমান মহামারিতে ছুটি নেই মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের। বাসায় বাসায় গিয়ে চলছে নমুনা সংগ্রহ। আর যারা মৃতদের দাফন সৎকার করেন তাদেরও অন্যদিনের মতোই ব্যস্ততা।

খালি চোখে দেশের অনেক কিছুর চিত্র এখন স্বাভাবিক। কিন্তু দুর্যোগের অনেকটা টের পাওয়া যায় হাসপাতাল বা কবরস্থানে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply