টিকটক, লাইকি ভিডিও বানাতে গিয়ে তৈরি হচ্ছে গ্যাং (ভিডিও)

|

হালের ক্রেজ- ইউটিউব, টিকটক, লাইকি, ভিগো কন্টেন্ট। মানসম্পন্ন অথবা মানহীন; অর্থপূর্ণ-অর্থহীন নানা কিছু নিয়ে তৈরি হচ্ছে ভিডিও। মোবাইল দিয়েই নানান কন্টেন্ট বানাচ্ছে কম বয়সী কিশোর-কিশোরীরা। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এসব করতে গিয়ে তৈরি হচ্ছে তথাকথিত গ্যাং, ঘটছে নানা অপরাধ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সুস্থ মানসিক বিকাশ না থাকাতেই ভয়ঙ্কর পথে পা বাড়াচ্ছে এই কন্টেন্ট নির্মাতারা।

অশালীন, রুচিপূর্ণ যাই হোক- অনলাইনে এসব কন্টেন্টের দর্শক লাখ লাখ। সরেজমিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে গিয়ে দেখা যায় কিশোর-কিশোরীদের হাতে থাকা স্মার্টফোনেই ধারণ করা হচ্ছে খণ্ডখণ্ড ভিডিও চিত্র। মোবাইলে সম্পাদনা করে তা আপলোড করা হবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেনো কিশোর কিশোরীরা, তৈরি করছে এমন ভিডিও?

টিকটক কন্টেন্ট তৈরি করেন এমন কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত খ্যাতি ও অর্থের কারণে এদিকে ঝুঁকেছেন তারা। পাশাপাশি এর মাঝে এক ধরনের উত্তেজনাও খুঁজে পান তারা।

চটুল বিনোদন নির্ভর এসব কন্টেন্টের দর্শক ও নির্মাতারা সাধারণত শিশু-কিশোর। দেশে ফেসবুক-ইউটিবের মতো প্লাটফর্মে দীর্ঘদিন কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, মানহীন-অনিয়ন্ত্রিত কন্টেন্টের কারণে টিকটক ও লাইকি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তারা।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মাহসান স্বপ্ন জানান, দলাদলির বিষয় ঢুকে গেছে এসবে। পাশাপাশি, মানহীন কন্টেন্ট বানিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার এক ধরনের প্রবণতা দেখা দিয়েছে এসব প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীদের মধ্যে।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত তারকা খ্যাতি ও অসময়ে অর্থপ্রাপ্তির লোভ বিপথে নিচ্ছে শিশু-কিশোরদের। ব্যহত হচ্ছে তাদের মানসিক বিকাশ। অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে গ্যাং কালচারে।

মনোবিজ্ঞানী মেখলা সরকার বলেন, একটি ১৭/১৮ বছরের বাচ্চার যদি এসব প্লাটফর্মের কারণে জনপ্রিয়তা তৈরি হয় তাহলে তার মধ্যে এক ধরনের সুপেরিয়র হয়ে দেখার প্রবণতা তৈরি হয়। এটা কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করা হবে তার দায়িত্ব থাকে পরিবারের।

ফ্যান ফলোয়ারদের নিয়ে প্রথমে অনলাইন গ্রুপ, তারপর রাজপথে শোডাউন করছে টিকটক সদস্যরা। সম্প্রতি পুলিশের হাতে আটক হওয়া অপুকেও আশ্রয় দিয়েছিলো উত্তরার তিন ভাইয়ের একটি গ্যাং। রাজধানীর অন্যান্য এলাকাও তৈরি হয়েছে এমন বেশ কিছু গ্রুপ।

পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, এসব কন্টেন্ট নির্মাতাদের কেউ কেউ গ্যাং কালচারের মাধ্যমে নানা ধরনের সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন, এমন খবর আমরা পাচ্ছি। এ বিষয় আমরা নজর রাখছি।

শিশু-কিশোররা যেন গ্যাং কালচারে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ নিয়ে ভিডিও প্রতিবেদন দেখুন-


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply