যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় ডাক বিভাগ, বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে আড়াই হাজার কোটি ডলার!

|

করোনা পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচনায় আছে দেশটির ডাক বিভাগ। ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে অধিকাংশ মানুষই মেইলে ভোট দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই সময়মতো সে ভোট পৌঁছে দেয়া নিশ্চিত করতে, পোস্টাল সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার, আড়াই হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ দেয় কংগ্রেস।

অন্যদিকে, জালিয়াতির অভিযোগে বরাবরই ডাকের মাধ্যমে ভোট দেয়ার সুযোগের বিরোধী, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তহবিল সংকট এবং করোনা মহামারির অজুহাতে, ‘মেইল-ইন ভোট’ বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পোস্টাল সার্ভিস প্রধান লুইস ডিজয়ও। ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান-দুই শিবির থেকেই যার বিরোধিতা করা হয়।

বিষয়টির ফয়সালা করতেই, শনিবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ- প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। যাতে, নিরবচ্ছিন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে ডাকবিভাগের জন্য আড়াই হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ হয়।

হাউস স্পিকার ও ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসি বলেন, প্রেসিডেন্ট কি বলছেন, তার প্রতি গুরুত্ব দেবেন না। কারণ, তার উদ্দেশ্যেই হলো- যেকোন মূল্য নির্বাচন ও ভোটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি। তাদের সাজানো নাটকই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দ্বিদলীয় সম্মতিতেই বিলটি পাস হয়েছে, এবার সিনেটে সম্মতির অপেক্ষা। কারণ, সাধারণ মানুষের মনোভাবই শেষ কথা। মহামারি আতঙ্কে অনেকেই এবার ডাক-সহায়তায় ভোট দিতে ইচ্ছুক।

যদিও, উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি টিকবে কিনা-তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে।

হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস বলেন, নির্বাচনের মাত্র ৭০ দিন বাকি। এ সময়, প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া বিল, আদৌ আলোর মুখ দেখবে কিনা সন্দেহ! তবে, মার্কিনীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চান প্রেসিডেন্ট। তাই, খোলা থাকবে সব ভোটকেন্দ্র। স্পিকার পেলোসির কাছে প্রশ্ন- বেকারভাতা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার তুলনায় ডাকবিভাগের তহবিল কি বেশি জরুরি?

সম্প্রতি অ্যাক্সিওস সার্ভে মাংকির পরিচালিত জরিপে উঠে এসেছে, করোনা মহামারি আতঙ্কে ৫০ শতাংশের বেশি ভোটার ডাকবিভাগের সহায়তায় ভোট দিতে চান। অন্যদিকে, স্বশরীরে ভোটদানের পক্ষে এক-চতুর্থাংশ রিপাবলিকান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply