অরিত্রীর আত্মহত্যা: ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

|

অরিত্রী অধিকারী- ফাইল ছবি

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের মামলায় দুই শিক্ষকের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তারা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্তরা হলেন- ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার।

এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার অব্যাহতির আবেদনও মঞ্জুর করেন।

গত ২৮ মার্চ বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় চার্জশিট দাখিল করেন। এতে হাসনা হেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।

২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী (১৫)। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২ ডিসেম্বর (২০১৮) সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ তার বাবা-মাকে ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে বাবা-মাকে অনেক অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে (অরিত্রী) আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

-বাসস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply