দিবাস্বপ্ন দেখার উপকারিতা

|

হঠাৎ আপনার চোখের সামনে ভেসে ওঠে কি স্বপ্নের জাল? যাকে বলে দিবাস্বপ্ন! ভয় পাবেন না! দিবাস্বপ্ন দেখা ভালো। অ্যাটলান্টার জর্জিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির একদল গবেষক এ বিষয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন। জেনে নিন দিবাস্বপ্ন দেখার সুফল-

* স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে

গবেষণায় জানা গেছে, দিবাস্বপ্ন দেখার সময় আমাদের মস্তিষ্কের বিশেষ একটি অংশ এতটাই অ্যাকটিভ হয়ে যায় যে ব্রেনপাওয়ার বৃদ্ধির সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও বাড়তে থাকে। তাই আপনি যদি মাঝেমধ্যে দিবাস্বপ্নের দুনিয়ায় হারিয়ে যান, তাহলে ভাববেন না কোনো ভুল কাজ করছেন। বরং এতে আপনার উপকারই হচ্ছে।

* ক্রিয়েটিভিটি বৃদ্ধি পায়

যারা খালি চোখে স্বপ্ন দেখতে অভ্যস্ত, তাদের নতুন কিছু সৃষ্টি করার ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায়, যে ক্রিয়েটিভ সেক্টরে এদের সফল হতে কেউ আটকাতেই পারে না। একবার ভাবুন তো, আপনি যেখানে জাননি, সেখানে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে যাওয়ার পর কী কী করবেন সে বিষয়ে আপনি কল্পনার জগতে একের এক ছবি এঁকে চলেছেন। এমনটা একটা ক্রিয়েটিভ মানুষ ছাড়া আর কেউ করতে পারেন না।

* মন ভালো হয়

নানা কারণে মনটা বেজায় অস্থির হয়ে আছে? তাহলে কাজের থেকে কয়েক মিনিট ছুটি নিয়ে একটু মনের মতো স্বপ্ন দেখে ফেলুন। এমনটা করলে নিমেষে মন ভালো হয়ে যাবে। আসলে স্বপ্ন দেখার পর আমাদের সুখের নানা স্মৃতি সামনে আসতে শুরু করে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই মন চাঙা হয়ে উঠতে সময় নেয় না।

* কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়

গবেষণায় দেখা গেছে, দিবাস্বপ্ন এমন এক ধরনের ড্রিম যা আমরা নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। ফলে এমনটি করার সময় আমাদের ব্রেন অ্যাকটিভিটি এতটাই বেড়ে যায় যে তার সুফল শরীরেও পেতে শুরু করি। ফলে সার্বিক কর্মক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে সফলতা পেতে সময় লাগে না।

* শরীর চাঙা হয়ে ওঠে

নিয়মিত দিবাস্বপ্ন দেখার অভ্যাস করলে মানসিক চাপ কমতে শুরু করে। মানসিক অবসাদও কমে যায়। ফলে শরীরের নানা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যুবসমাজ যেসব মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে, তার বেশিরভাগেরই সঙ্গে মানসিক অবসাদের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই একবার মানসিক চাপের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারা যায়, তাহলেই কেল্লা ফতে।

* অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়

গবেষণায় দেখা গেছে, দিবাস্বপ্নের সঙ্গে আমাদের রাতের ঘুমের একটা সরাসরি যোগ রয়েছে। খালি চোখে দেখা স্বপ্ন শেষ হতে চায় না। ঘুমাতে ঘুমাতেও আমরা সেই দুনিয়ায় চলে যেতে চাই। ঘুমাতে যাওয়ার অল্প সময় আগে একটু খালি চোখে স্বপ্ন দেখার অভ্যাস হয়ে গেলে ঘুম আসতে একেবারে সময়ই লাগে না। যারা অনিদ্রায় ভুগছেন, তারা একবার এ আজব পদ্ধতিটি অনুসরণ করে দেখতে পারেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply